আসানসোল: বেআইনি কয়লা পাচার মামলায় চার্জ গঠনের দিন একবারও শুভ হচ্ছে না। শনিবার আবারও আসানসোল সিবিআই আদালতে চার্জ গঠন প্রক্রিয়া বিলম্বিত হয়েছে। এর আগে দু’বার চার্জ গঠন স্থগিত করা হয়েছিল এবং এবার সেই প্রক্রিয়াটি আরও দুই মাসের জন্য পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।
পরবর্তী শুনানির তারিখ আগামী ১৪ নভেম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে, যা পূজা বা উৎসবের ছুটির পরে হবে। আসানসোল সিবিআই বিশেষ আদালতের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী ঘণ্টাখানেকের প্রশ্নোত্তর পর্বের পর এই নির্দেশ দেন।
আদালতে জটিলতা ও প্রশ্নোত্তর পর্ব:
শুনানির সময়, মামলার মূল অভিযুক্ত অনুপ মাজি ওরফে লালা-কে নিয়ে সিবিআই-এর কার্যকলাপ নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়। লালার আইনজীবী অভিষেক মুখোপাধ্যায় প্রশ্ন তোলেন, “আমার মক্কেলকে নোটিশ পাঠিয়ে ডাকা হয়েছে, কিন্তু সেই নোটিশ ব্যক্তিগতভাবে প্রদান করা হয়নি, বরং মেল-এর মাধ্যমে পাঠানো হয়েছে।”
এছাড়াও, তিনি বলেন, নোটিশে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়নি কেন তাকে ডাকা হয়েছে—সে সাক্ষী নাকি অভিযুক্ত? বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী এই প্রশ্নের জবাব জানতে চেয়েছিলেন সিবিআই-এর পিপি রাকেশ কুমারের কাছ থেকে, কিন্তু তিনি স্পষ্ট কিছু বলতে পারেননি। বিচারক সিবিআইকে কিছুটা তিরস্কার করেন এবং বলেন, চার্জশিট দাখিলের পর অভিযুক্তকে নোটিশ পাঠানোর নিয়ম কীভাবে প্রযোজ্য, তা পরিষ্কার করা প্রয়োজন।
বেসরকারি কোম্পানির আবেদন:
শুনানির সময় একটি বেসরকারি কোম্পানি, যা ২০১৮ সালে লিকুইডেশনে গিয়েছিল, তার পক্ষে একজন আইনজীবী আবেদন করেন এবং বলেন, ২০২০ সালে এই মামলার এফআইআর দায়ের হয়েছে। বিষয়টি আদালতে বিবেচনার জন্য উপস্থাপিত হয় এবং বিচারক তাদের আবেদন গ্রহণ করেন।
চার্জ গঠনে বিলম্বের কারণ:
এই মামলার চার্জ গঠনের দিন আগে ৩ জুলাই এবং ৯ আগস্ট নির্ধারিত ছিল, কিন্তু উভয় সময়েই এটি স্থগিত হয়। অভিযুক্তদের মধ্যে অনুপস্থিতির কারণে এবং মামলার বিপুল পরিমাণ নথি (২৭ হাজার পৃষ্ঠার উপরে) পাওয়ার ক্ষেত্রে অসুবিধার কারণেও চার্জ গঠন সম্ভব হয়নি।