পশ্চিম বর্ধমানে সিন্ডিকেট রাজ: এআইএমআইএম নেতার বিস্ফোরক অভিযোগ

সানসোল, ২৪ নভেম্বর ২০২৪: পশ্চিম বর্ধমান জেলার এআইএমআইএম সভাপতি দানিশ আজিজ আজ আসানসোল রবীন্দ্র ভবন সংলগ্ন কফি হাউসে এক সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্য পুলিশের ভূমিকা নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি অভিযোগ করেন, “অবৈধ কয়লা, জমি, লোহা, বালি ও পাথরের ব্যবসায় জড়িত প্রকৃত মাফিয়াদের ধরা হচ্ছে না, বরং তাদের পুতুলদের গ্রেফতার করে লোকদেখানো অভিযান চালানো হচ্ছে।”

অবৈধ ব্যবসায় সিন্ডিকেট এবং প্রশাসনের যোগসাজশের অভিযোগ

দানিশ আজিজ জানান, পশ্চিম বর্ধমান সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় অবৈধ কয়লা, বালি ও জমি ব্যবসা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এ বিষয়ে তিনি রাজ্যপাল ড. সিভি আনন্দ বোস, পশ্চিম বর্ধমান জেলা শাসক এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন।

তিনি অভিযোগ করেন যে, এই অবৈধ ব্যবসায় জড়িত ১২ জন প্রভাবশালী ব্যক্তি এবং নেতার নাম চিঠিতে উল্লেখ করা হলেও তাদের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। তিনি নাম উল্লেখ করে বলেন, “ধর্মেন্দ্র সিং ওরফে পাপ্পু সিং, লোকেশ সিং, কান্তা প্রসাদ, তারকেশ্বর রায়, সৈয়দ ইমতিয়াজ, সেমসার হোসেন, জয়দেব খান, বীরবাহাদুর সিং, শেখ সাদারউদ্দিন ওরফে সোদু, শেখ দিলদার ওরফে দিল, সাজ্জাদ খান ওরফে লাতুয়া এবং রঞ্জিত সিং ওরফে ছোটু এই ব্যবসায় জড়িত।”

মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগ লোকদেখানো

দানিশ আজিজ বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্যই এ ধরণের অভিযান চালাচ্ছেন। প্রকৃত মাফিয়াদের আড়ালে রেখে শুধু তাদের পুতুলদের গ্রেফতার করা হচ্ছে।” তিনি আরও অভিযোগ করেন, “রাজ্য প্রশাসন এই অবৈধ ব্যবসার সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত।”

অমিত শাহের হস্তক্ষেপ দাবি

দানিশ আজিজ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছে আবেদন জানিয়েছেন, “এই অবৈধ ব্যবসা বন্ধ করতে এবং প্রকৃত অপরাধীদের গ্রেফতার করতে যেন পদক্ষেপ নেওয়া হয়।” তিনি হুঁশিয়ারি দেন, এআইএমআইএম এই বিষয়ে জনমত গড়ে তুলবে এবং প্রয়োজনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গেও দেখা করবে।

সাংবাদিক সম্মেলনের উপস্থিতি

সাংবাদিক সম্মেলনে এআইএমআইএমের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ, যেমন আতিফ মালিক, নাদিম আখতার, মোহাম্মদ মনসুর, সোহরাত আলম এবং অ্যাডভোকেট মেরাজ উপস্থিত ছিলেন।

ghanty

Leave a comment