কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ও পুলিশ মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনে বড় পরিবর্তনের সূচনা করলেন। নভেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে নবান্ন থেকে সিআইডি-তে পরিবর্তনের ঘোষণা করার পরে, বুধবার থেকে এই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সিআইডি প্রধান আর. রাজশেখরন-কে পদ থেকে সরিয়ে আপেক্ষিক কম গুরুত্বপূর্ণ পদ এডিজি (প্রশিক্ষণ)-এ পাঠানো হয়েছে।
পরিবর্তনের তালিকা:
- আর. রাজশেখরন: সিআইডি প্রধানের পদ থেকে সরিয়ে এডিজি (প্রশিক্ষণ)-এ বদলি।
- দময়ন্তী সেন: এডিজি (প্রশিক্ষণ) থেকে এডিজি (নীতি)-তে স্থানান্তর।
- রাজীব মিশ্র: এডিজি (ইবি) থেকে এডিজি (আধুনিকীকরণ)-এ পাঠানো।
- শিবকুমার: এডিজি (ইবি)-এর দায়িত্ব গ্রহণ করবেন।
কসবাকাণ্ডের পর কঠোরতা:
সম্প্রতি ঘটে যাওয়া কসবাকাণ্ডের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতা পুলিশ গোয়েন্দা প্রধান মুরলীধরকে আগেই সরিয়ে দিয়েছিলেন। এবার রাজ্য গোয়েন্দা বিভাগের প্রধানকেও পরিবর্তন করা হল।
কয়লা ও বালু পাচারে কঠোর অবস্থান:
মুখ্যমন্ত্রী কয়লা ও বালু পাচারে পুলিশের একাংশের যোগসাজশ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। নবান্ন থেকে তিনি জানান, “জনগণের টাকা চুরি করতে আমি কাউকে দেব না। তা সে পুলিশ হোক বা রাজনৈতিক দলের কেউ। দোষী প্রমাণিত হলে তাকে জেলে পাঠানো হবে।”
অবৈধ খননের অভিযোগ:
পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোল ও রাণীগঞ্জ এলাকায় অবৈধ কয়লা খনন এবং বালু চুরির ঘটনা নতুন নয়। বিরোধীরা ক্রমাগত তৃণমূল সরকারকে আক্রমণ করে চলেছে। এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন:
সম্প্রতি রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, “বাইরের অস্ত্র এবং সমাজবিরোধীরা রাজ্যে কীভাবে প্রবেশ করছে, সে সম্পর্কে পুলিশের কাছে তথ্য নেই কেন?”
আগামী দিনেও হতে পারে বড় পরিবর্তন:
প্রশাসনিক সূত্রের খবর, এটি কেবল শুরু। আগামী দিনে প্রশাসনে আরও বড় পরিবর্তন হতে পারে। বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিক ও পুলিশের বেশ কিছু কর্মকর্তার বদলি সম্ভব।