[metaslider id="6053"]

অপহরণ নয়, বাবার বকুনিতে ভয়ে পালিয়েছিল মেয়ে! নাসিক থেকে ফিরল সালানপুরে

সালানপুর, পশ্চিম বর্ধমান
সালানপুর থানার অধীনস্থ এক দশম শ্রেণির ছাত্রী রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হওয়ায় এবং পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া এক হৃদয়বিদারক ভিডিওর ভিত্তিতে গোটা এলাকায় অপহরণের সন্দেহ ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওতে দেখা যায়, ওই ছাত্রী কাঁদতে কাঁদতে তার বাবার সঙ্গে কথা বলছে, তার হাত বাঁধা। ভিডিওটি দেখার পর সারা এলাকায় আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়।

👮 পুলিশের দ্রুত পদক্ষেপ
সালানপুর থানার পুলিশ দ্রুত তদন্ত শুরু করে এবং নাসিক পুলিশের সহায়তায় ওই ছাত্রীকে মহারাষ্ট্রের নাসিক থেকে উদ্ধার করে আনে। পরে তাকে সালানপুর থানায় নিয়ে আসা হয়।

🗣 পরিবার ও পুলিশের বক্তব্য
পরিবারের সদস্য শাহনওয়াজ এবং পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, এটি কোনো অপহরণ ছিল না। পরীক্ষার রেজাল্ট খারাপ হওয়ায় ছাত্রীটি তার বাবার বকুনিতে ভীত হয়ে পড়ে এবং বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে পড়ে। তার ইচ্ছা ছিল কোনো আত্মীয়ের বাড়িতে যাওয়ার, কিন্তু ভুল ট্রেনে উঠে সে পৌঁছে যায় নাসিকে।

📱 ভাইরাল ভিডিওর রহস্য
ছাত্রী নিজের মোবাইল থেকে একটি ভিডিও রেকর্ড করে এক পরিচিতকে পাঠিয়েছিল, যেখানে সে হাত বাঁধা অবস্থায় কাঁদছে। উদ্দেশ্য ছিল, পরিবারের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করা এবং সবাই যেন তাকে গুরুত্ব দিয়ে খোঁজে। কিন্তু এই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই ঘটনাটি অপহরণ হিসেবে ধরে নেওয়া হয়।

⚖️ আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন
সোমবার তাকে আদালতে পেশ করা হয়, যেখানে সমস্ত আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর তাকে তার পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে।

🎯 পুলিশের ভূমিকা প্রশংসনীয়

পশ্চিমবঙ্গ ও মহারাষ্ট্র পুলিশের সমন্বিত তৎপরতায় ছাত্রীটির সুরক্ষিত প্রত্যাবর্তন সম্ভব হয়েছে। এমন স্পর্শকাতর পরিস্থিতিতে প্রশাসনের দায়িত্বশীলতা প্রশংসাযোগ্য।

🔍 শিক্ষণীয় দিক:

এই ঘটনা আবারো মনে করিয়ে দিল, পরীক্ষার চাপ এবং অভিভাবকদের মানসিক চাপের ভয় কিশোর-কিশোরীদের জীবনে কতটা প্রভাব ফেলে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল কিছু দেখে যাচাই না করে সিদ্ধান্তে পৌঁছানো কতটা বিপজ্জনক হতে পারে, সেটাও প্রমাণিত হলো।

📣 শেষ কথা:

এটি কোনো সাধারণ নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা নয়, এটি একটি সমাজের মানসিক চাপ এবং প্রযুক্তির অপব্যবহারের প্রতিচ্ছবি। প্রয়োজন বোঝাপড়া, ভালোবাসা এবং মানসিক সহানুভূতি।

ghanty

Leave a comment