কুলটি, আসানসোল: সোমবার সকালে সেল গ্রোথ ওয়ার্কসের ১২ নম্বর এলসি গেটের কাছে এক যুবকের মৃতদেহ এবং আরেকজন গুরুতর আহত যুবক উদ্ধার হওয়ার ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। মৃত যুবককে ভিকি রবিদাস (২৫) হিসেবে সনাক্ত করা হয়েছে এবং গুরুতর আহত লাডান খানকে জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পর মৃত যুবকের পরিবারের সদস্য ও স্থানীয় বাসিন্দারা ফ্যাক্টরির প্রধান গেটে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন, যার ফলে ফ্যাক্টরির কাজ সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়।
CISF জওয়ানদের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ: মৃত ভিকি রবিদাসের বাবা শঙ্কর রবিদাস এবং বোন রাখি রবিদাস অভিযোগ করেছেন যে CISF জওয়ানরা তাদের ছেলেকে হত্যা করেছে। তারা ৫০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ এবং একটি সরকারি চাকরির দাবি জানিয়েছেন। মৃতের পরিবার আরও ক্ষুব্ধ কারণ পোস্টমর্টেম তাদের না জানিয়ে করা হয়েছে।
রাজনৈতিক মোড় নেয় ঘটনা: ঘটনার খবর পাওয়ার সাথে সাথেই বিজেপি এবং তৃণমূল কংগ্রেস উভয় দলই ফ্যাক্টরির গেটে বিক্ষোভ শুরু করে। বিজেপির কুলটি বিধায়ক ডাঃ অজয় পোদ্দার, ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ললন মেহরা এবং তৃণমূলের ডেপুটি মেয়র অভিজিৎ ঘটক ঘটনাস্থলে পৌঁছান। উভয় পক্ষই মৃতের পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণ এবং চাকরির দাবি জানায়।
CISF-এর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি: তৃণমূল নেত্রী ইন্দ্রাণী মিশ্র অভিযোগ করেন যে ভিকিকে CISF জওয়ানরা হত্যা করেছে এবং আরেক যুবক হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছে। তিনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছে CISF-এর বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করার দাবি জানান। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিজেপি এবং তৃণমূল নেতাদের মধ্যে রাজনৈতিক উত্তাপ আরও বেড়ে যায়।
কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক: বিকাল ২টায় মৃতের পরিবার, বিজেপি নেতারা এবং ফ্যাক্টরি ম্যানেজমেন্টের মধ্যে একটি বৈঠক হয়, কিন্তু কোনও সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যায়নি। ম্যানেজমেন্ট আশ্বাস দেয় যে প্রথমে ঘটনার তদন্ত করা হবে, তারপর ক্ষতিপূরণ এবং চাকরির বিষয়ে বিবেচনা করা হবে।
পুলিশের বক্তব্য: কুলটি থানার ওসি কৃষ্ণলেন্দু দত্ত জানিয়েছেন যে CISF-এর বিরুদ্ধে এখনও কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি, তবে পুরো বিষয়টি তদন্ত করা হবে। এসিপি ওয়েস্ট জে হুসেনও জানিয়েছেন যে শীঘ্রই এই ঘটনার তদন্ত করা হবে।