নতুন দিল্লি :
অসামরিক বিমানবন্দর থেকে শুরু করে সংসদ ভবন ও মেট্রো পর্যন্ত দেশের সংবেদনশীল এলাকায় নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা CISF জওয়ানদের মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষায় এক অসাধারণ পদক্ষেপ হয়ে উঠেছে ‘প্রজেক্ট মন’। আদিত্য বিড়লা এডুকেশন ট্রাস্টের সহযোগিতায় এই প্রকল্প ইতিমধ্যেই ৭৫,১৮১ জন জওয়ান ও তাদের পরিবারের মানসিক সহায়তা পৌঁছে দিয়েছে।
আজ CISF-এর মহানির্দেশক শ্রী আর.এস. ভাট্টি (IPS) এবং আদিত্য বিড়লা এডুকেশন ট্রাস্টের চেয়ারপারসন শ্রীমতী নীরজা বিড়লা যৌথভাবে এই প্রকল্পের অগ্রগতির পর্যালোচনা করেন।
💡 কী কী কাজ করছে ‘প্রজেক্ট মন’?
- জওয়ানদের মনোবিজ্ঞান ভিত্তিক স্ক্রীনিং, কাউন্সেলিং ও ক্লিনিকাল ইন্টারভেনশন
- ১,৭২৬ জন অফিসার ও সাব-অফিসারকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে যাতে তারা প্রাথমিক মানসিক সমস্যা শনাক্ত করতে পারেন
- প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞদের কাছে কেস স্থানান্তর করা হচ্ছে
- IGI বিমানবন্দর, সংসদ, দিল্লি মেট্রো-সহ বিভিন্ন সংবেদনশীল ইউনিটে ৩১,০০০ জওয়ানের স্ক্রীনিং করা হয়েছে
- ২৪×৭ মানসিক হেল্পলাইন চালু আছে সব জওয়ানদের জন্য
📉 সাফল্যের প্রমাণ কী?
প্রজেক্ট চালু হওয়ার পর CISF-এ আত্মহত্যার হার ৪০% কমেছে, যা জাতীয় গড়ের নিচে। বিয়ের টানাপোড়েন, আর্থিক চাপ, ডিপ্রেশন—এই সব সমস্যার দ্রুত সমাধান সম্ভব হয়েছে এই প্রকল্পের মাধ্যমে।
🗣️ কর্মকর্তাদের প্রতিক্রিয়া
DG CISF ভাট্টি বলেন:
“শারীরিক ফিটনেসের মতো মানসিক স্বাস্থ্যও মিশন-ক্রিটিকাল। ‘প্রজেক্ট মন’ আমাদের বাহিনীর মানসিক বল বৃদ্ধি করেছে।”
নীরজা বিড়লা বলেন:
“মানসিক স্বাস্থ্য যখন প্রতিষ্ঠানগতভাবে গ্রহণযোগ্য হয়, তখন ফলাফল হয় দারুণ। গত তিন বছরে ‘প্রজেক্ট মন’ প্রমাণ করেছে, সঠিক সহায়তা থাকলে পরিবর্তন সম্ভব।”
🔄 আগামী বছরগুলিতে চলবে এই প্রকল্প
এই সাফল্যের পরিপ্রেক্ষিতে, CISF এবং আদিত্য বিড়লা ট্রাস্ট একযোগে সিদ্ধান্ত নিয়েছে আগামী বছরগুলিতেও এই মানসিক সহায়তা চলবে।
📌 উপসংহার:
CISF-এর ‘প্রজেক্ট মন’ এখন আর কেবল একটি প্রকল্প নয়—এটি ভারতের প্রতিরক্ষা বাহিনীর মধ্যে মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতার এক নবযুগের সূচনা।