সালানপুর (পশ্চিম বর্ধমান):
CISF (কেন্দ্রীয় শিল্প নিরাপত্তা বাহিনী) এর জওয়ান সুনীল পাশবান এর হত্যাকাণ্ডে পুলিশ এক বড় সাফল্য অর্জন করেছে। রূপনারায়ণপুর ফাঁড়ি পুলিশ এই কাণ্ডে এক মূল অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে — এবং চমকে দেওয়ার মতো তথ্য সামনে এসেছে যে, অভিযুক্ত রাহুল গুপ্তা ওরফে ‘মুরগি’ ইতিমধ্যেই একটি হত্যা মামলায় জামতাড়া জেলে বন্দী ছিল!
📍 কোথায় ঘটেছিল ঘটনা?
এই ঘটনা ঘটে ২৩ এপ্রিল, সালানপুর থানার অন্তর্গত রূপনারায়ণপুর ফাঁড়ি এলাকার ডোমদোহা ওপরডাঙ্গা, যা পশ্চিমবঙ্গ-ঝাড়খণ্ড সীমান্তে অবস্থিত। সেদিন অজ্ঞাত দুষ্কৃতীদের গুলিতে CISF জওয়ান সুনীল পাশবান নিহত হন। নিহত জওয়ান ঝাড়খণ্ডের মেহিজাম বরুইপাড়া এলাকার বাসিন্দা ছিলেন।
🔍 তদন্তে CCTV ফুটেজে মিলল সূত্র
পুলিশ তৎপর হয়ে CCTV ফুটেজ খতিয়ে দেখে এক সন্দেহভাজনের গতিবিধি লক্ষ্য করে। তার পোশাক দেখে শনাক্ত করা যায় যে সে রাহুল গুপ্তা ওরফে মুরগি, যিনি মেহিজামের অম্বেদকর নগর এলাকার বাসিন্দা।
🧥 খুনের সময়ের পোশাক উদ্ধার, এরপর বড় চমক
পুলিশ রাহুলের বাড়িতে হানা দিয়ে ঘটনার সময়ের পোশাক উদ্ধার করে। এরপরেই জানা যায়, অভিযুক্ত রাহুল ইতিমধ্যেই মেহিজাম থানার একটি হত্যা মামলা (মামলা নং 10/2025)-র কারণে জামতাড়া জেলে বন্দী রয়েছে।
🚓 জেল থেকেই ষড়যন্ত্র? ট্রানজিট রিমান্ডে গ্রেপ্তার
রূপনারায়ণপুর পুলিশ জামতাড়া জেলে গিয়ে রাহুলকে শো-অন অ্যারেস্ট করে এবং ১০ দিনের ট্রানজিট রিমান্ডে নিয়ে আসে।
আজ তাঁকে আসানসোল আদালতে পেশ করা হয়েছে, যেখানে পুলিশ ৪ দিনের হেফাজতের আবেদন করেছে।
🕵️♀️ আরও নাম জড়ানোর সম্ভাবনা
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এই হত্যা মামলায় আরও কয়েকজন দুষ্কৃতী জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এই ঘটনা একটি সংগঠিত অপরাধ চক্রের অংশ হতে পারে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
✅ উপসংহার:
CISF জওয়ান সুনীল পাশবান-এর হত্যাকাণ্ডে যে ধরনের চক্রান্ত ও গভীরতা উঠে এসেছে, তা নতুন করে নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে ভাবিয়ে তুলছে। জেলে বসেই হত্যার পরিকল্পনা!
এখন নজর রাখা হচ্ছে, বাকিদের গ্রেফতার ও পুরো চক্রটি ভেঙে ফেলার উপর।