📍 চুরুলিয়া, জামুড়িয়া থানা এলাকা |
চুরুলিয়া ফের উত্তপ্ত, এবার এনআরসি (জাতীয় নাগরিক নিবন্ধন) ইস্যুতে। আজ বিজেপির পক্ষ থেকে জামুড়িয়া থানার অন্তর্গত চুরুলিয়া অঞ্চলে রাস্তা অবরোধ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারাও, যার জেরে রাস্তায় চলাচলকারী সাধারণ মানুষকে চরম ভোগান্তির মুখে পড়তে হয় কিছুক্ষণ।
🆚 তৃণমূল এসে বাধা দিলে পরিস্থিতি চরমে
খবর পেয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের চুরুলিয়া অঞ্চল কমিটির কয়েকজন কর্মী ঘটনাস্থলে পৌঁছান ও অবরোধ তুলে নিতে বলেন। এরপরই বিজেপি ও তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে তীব্র বাদানুবাদ ও ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। কিছু সময়ের জন্য এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
👮 পুলিশের দ্রুত পদক্ষেপে এড়ানো যায় বড় সংঘর্ষ
ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশ তৎক্ষণাৎ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। দুই পক্ষের দু’জন করে নেতাকর্মীকে বুঝিয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়। পুলিশের সক্রিয়তায় বড় সংঘর্ষ এড়ানো সম্ভব হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
🗣️ নেতাদের মুখোমুখি বক্তব্য
বিজেপি নেতা তপস রায় বলেন,
“এনআরসি দেশের নিরাপত্তা ও জাতীয় স্বার্থে জরুরি। তৃণমূল যতই বাধা দিক, আমরা পিছিয়ে আসব না।”
অন্যদিকে তৃণমূলের চুরুলিয়া আঞ্চলিক সভাপতি ব্রজ নারায়ণ রায় বলেন,
“প্রথমে কেন্দ্র সরকার এনআরসি প্রত্যাহার করুক। তারপরই এই বিষয়ে কোনো আলোচনার সম্ভাবনা তৈরি হবে।”
🧭 প্রেক্ষাপট: কেন এনআরসি নিয়ে এত বিতর্ক?
পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি নিয়ে রাজনৈতিক উত্তেজনা নতুন নয়। বিজেপি বারবার এনআরসি বাস্তবায়নের দাবি জানিয়ে আসছে, যেখানে তৃণমূল কংগ্রেস এটিকে মানবিক ও সাংবিধানিক বিপর্যয় বলে অভিহিত করেছে। তৃণমূলের বক্তব্য, এনআরসি সাধারণ মানুষকে সমস্যায় ফেলবে, বিশেষ করে সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে।
🔍 জনগণের মিশ্র প্রতিক্রিয়া
স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন,
“নেতারা নিজেদের রাজনীতি করুক, কিন্তু বারবার রাস্তা অবরোধ করে সাধারণ মানুষের কষ্ট ডেকে আনা উচিত নয়।”
🔚 উপসংহার: রাজনীতি না জনসেবা?
চুরুলিয়ার এই ঘটনা আবারও দেখিয়ে দিল, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে এনআরসি ইস্যুতে মতপার্থক্য কতটা গভীর। রাজ্য রাজনীতির আগামী দিনে এ ধরনের ঘটনা আরও বাড়বে বলেই রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের ধারণা।