লক্ষ্মী পূজার আগের সন্ধ্যায় উৎসবের আমেজ ছাপিয়ে নেমে এল শোকের ছায়া। রেলশহর চিত্তরঞ্জনের নর্থ এলাকার ৬৪ নম্বর রোডের ২৫-বি কোয়ার্টার্স থেকে উদ্ধার হল রেলকর্মী প্রদীপ চৌধুরীর রক্তাক্ত নিথর দেহ। বুকের বাঁদিকে গুলিবিদ্ধ দেহ, পাশে আধা খালি পিস্তল— দৃশ্য যেন এক অসমাপ্ত রুদ্ধশ্বাস থ্রিলার।
👀 কী ঘটেছিল সেদিন?
প্রদীপবাবুর একমাত্র ছেলে দেবদিত্য জানান, দুপুরে তিনি বাইরে গিয়েছিলেন। সন্ধ্যায় ফিরে এসে দেখেন দরজা ভিতর থেকে বন্ধ। ডাকাডাকি সত্ত্বেও কোনো সাড়া মেলেনি। থানায় খবর দেওয়ার পর পুলিশ এসে দরজা ভেঙে দেখে— বিছানায় পড়ে রয়েছেন প্রদীপবাবু, বুক রক্তে ভিজে গেছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, দেহের পাশে একটি আধা ভরা পিস্তল উদ্ধার হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে আত্মহত্যার ইঙ্গিত মিললেও, পুলিশের দাবি— “সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
🩸 পুরনো রহস্য ফের জেগে উঠল!
কয়েক মাস আগেই চিত্তরঞ্জনের মানুষ দেখেছিল আরও এক ভয়ঙ্কর রাত। বাসন্তী পুজোর দিনে প্রদীপবাবুর স্ত্রীকে রক্তাক্ত গলাকাটা অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল তাঁদের এই একই কোয়ার্টার্সে। সেই সময় প্রদীপবাবুই ছিলেন তদন্তের মুখে। নানা অভিযোগ উঠেছিল, যদিও সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
আজ, স্ত্রী হত্যার কয়েক মাস পরই প্রদীপবাবুর নিজের মৃত্যু ঘিরে নতুন করে প্রশ্ন উঠছে—
- তিনি কি সত্যিই অপরাধবোধে ভুগছিলেন এবং আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন?
- নাকি স্ত্রীর মৃত্যুর অমীমাংসিত রহস্যই আজ তাঁর জীবন কেড়ে নিল প্রতিশোধের ছায়ায়?
😨 আতঙ্কে রেলশহর
একই পরিবারে পরপর দু’টি রহস্যমৃত্যু! শহরের মানুষ আজ আতঙ্কিত। অনেকেই বলছেন, “এটা কি নিছক কাকতালীয়, নাকি কোনও অদৃশ্য ষড়যন্ত্র?”
লক্ষ্মী পূজার আগের রাতে এমন মৃত্যুতে উৎসবের আনন্দ ম্লান হয়ে গেছে। গোটা শহর জুড়ে এখন একটাই প্রশ্ন—
👉 প্রদীপ চৌধুরীর মৃত্যু— আত্মহত্যা না রহস্যঘেরা খুন?