নয়াদিল্লি: বিশ্ব শিশু শ্রম বিরোধী দিবস উপলক্ষে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা International Equitable Human Rights Social Council-এর আন্তর্জাতিক চেয়ারম্যান সঞ্জয় সিনহা এক চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন।
তিনি বলেন—
“দেশজুড়ে লাগাতার শিশু শ্রম (নিষেধ ও নিয়ন্ত্রণ) আইন লঙ্ঘন হচ্ছে। ১৪ বছরের কম বয়সী শিশুদের কোনও কাজ বা পেশায় নিয়োগ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ, তবুও আজও হাজার হাজার শিশু নিজেদের শৈশব বিসর্জন দিয়ে রোজগারে বাধ্য হচ্ছে।”
সঞ্জয় সিনহা এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় শ্রম ও কর্মসংস্থানমন্ত্রী ডঃ মনসুখ মান্ডাভিয়া-কে এক খোলা চিঠি লিখেছেন এবং সামাজিক মাধ্যম এক্স-এ বার্তা দিয়ে বলেছেন—
“শিশু শ্রমে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোরতম শাস্তি কার্যকর করতে হবে।”
🚸 রাজস্থান তুলনায় নিরাপদ, বিপদ উত্তরপ্রদেশ-বিহার থেকে পাচার হওয়া শিশুদের
সিনহা জানান,
“রাজস্থানে স্থানীয় শিশুদের মধ্যে শিশু শ্রমের হার প্রায় নেই বললেই চলে। কিন্তু উত্তরপ্রদেশ ও বিহার থেকে পাচার হয়ে আসা শিশুদের দিয়ে ইটভাটা, কারখানা ও ঝুঁকিপূর্ণ কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন—
“সামাজিক নিরাপত্তা এবং প্রাথমিক শিক্ষা ছাড়া শিশু শ্রম নির্মূল সম্ভব নয়। দরিদ্র পরিবারগুলোকে সরকারি সুরক্ষা কাঠামোয় অন্তর্ভুক্ত করতেই হবে।”
🔍 বাঁচানো হলেও, ফের ফিরে যাচ্ছে শিশুরা শ্রমের জালে
সরকার ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার মাধ্যমে অনেক শিশু উদ্ধার করা হলেও, বাস্তব চিত্র ভয়াবহ।
“উদ্ধার করা শিশুর চেয়ে বেশি সংখ্যক শিশু আবারও সেই শিশু শ্রমের অন্ধকার গুহায় ফিরে যাচ্ছে। তাই শুধু রেসকিউ নয়, উৎসস্থলে ব্যবস্থা নিতে হবে। পরিবারকেও সচেতন ও দায়বদ্ধ করতে হবে।”
⚖️ শিশু শ্রম আইনের গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো (২০১৬ সংশোধনী অনুযায়ী):
- ১৪ বছরের কম বয়সী শিশুকে নিয়োগ করলে—
- সর্বোচ্চ ২ বছর জেল বা
- ৫০,০০০ টাকা জরিমানা
- ১৪–১৮ বছরের শিশুদের—
- বিস্ফোরক দ্রব্য বা আতশবাজির কারখানায় কাজ করানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
- পুনরায় দোষী প্রমাণিত হলে—
- ৩ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে।
📌 উপসংহার:
শিশু শ্রম শুধুমাত্র আইন লঙ্ঘন নয়, এটি জাতির ভবিষ্যতের উপর কালো ছায়া। সমাজ ও সরকারের যৌথ উদ্যোগ ছাড়া এই অভিশাপ দূর হবে না।