দুর্গাপুর :
ছঠ উৎসবের আগমনে দুর্গাপুর শহরজুড়ে ভক্তি, আনন্দ ও ঐক্যের আবহ। এই উপলক্ষে দুর্গাপুর মহাছঠ সমন্বয় কমিটির পক্ষ থেকে ওয়ার্ড নং ১৩-এর মেইন গেট ফ্রেন্ডস ক্লাব মাঠে আয়োজিত হলো ছঠ পূজার সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠান। বিশাল মঞ্চ তৈরি করে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে শত শত ছঠব্রতী মহিলা, স্থানীয় নাগরিক ও বিশিষ্টজন উপস্থিত ছিলেন। মাঠজুড়ে “ছঠ মাইয়া কি জয়” ধ্বনিতে মুখরিত হয় চারদিক।
🌞 প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত রাজ্য মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পঞ্চায়েত ও গ্রামীণ উন্নয়ন মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার, পান্ডেশ্বরের বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, জেলা সমাধিপতি বিশ্বনাথ বাউড়ি, প্রশাসনিক বোর্ডের সদস্য ধর্মেন্দ্র যাদব, জিতেন্দ্র মিশ্র, উজ্জ্বল মুখার্জি, লভলি রায়, অসীমা চক্রবর্তী এবং অন্যান্য গণ্যমান্য অতিথিবৃন্দ।
মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার বলেন —
“মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই এই কর্মসূচি আয়োজিত হয়েছে। আমাদের সরকার সব ধর্মের উৎসবকে সমান শ্রদ্ধা দেয়। দুর্গাপুজোর মতোই এখন ছঠ উৎসবের জন্যও প্রয়োজনীয় সামগ্রী ও সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। কর্পোরেশন ইতিমধ্যে সমস্ত ঘাট পরিষ্কার, আলো ও জলনিকাশের ব্যবস্থা করছে যাতে কোনো ভক্তকে অসুবিধায় পড়তে না হয়।”
🕉️ “ছঠ সূর্যদেবতার পূজা, যিনি সমগ্র সৃষ্টির প্রাণ” — বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী
বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী বলেন —
“ছঠ উৎসব শুধু ধর্মীয় আচার নয়, এটি প্রকৃতি ও সূর্যদেবতার আরাধনা। আমরা চাই, কোনো ভক্ত আর্থিক অসুবিধার কারণে পূজা থেকে বঞ্চিত না হন। তাই কমিটির সদস্যরা শহরের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে সামগ্রী বিতরণ করছেন।”
তিনি আরও জানান, দুর্গাপুরের বিভিন্ন এলাকায়ও ছঠ সামগ্রী বিতরণ চলছে। মা চণ্ডী স্থানের সংলগ্ন মাঠে হাজার হাজার মহিলা উপস্থিত ছিলেন এবং তাদের হাতে পূজার সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়।
🚑 দুর্গাপুর মহাছঠ কমিটির নতুন উদ্যোগ — জরুরি পরিষেবায় অ্যাম্বুলেন্স চালু
কমিটির প্রধান ধর্মেন্দ্র যাদব বলেন,
“গত দুই বছর ধরে আমরা এই উদ্যোগ নিয়মিতভাবে করে আসছি, যাতে প্রত্যেক ছঠব্রতীকে সব রকম সহযোগিতা ও সুবিধা দেওয়া যায়। এবার থেকে জরুরি অবস্থার জন্য অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবাও চালু করা হয়েছে। ফোন পেলেই গাড়ি সঙ্গে সঙ্গে পৌঁছে যাবে।”
🌇 ভক্তি, ঐক্য ও আনন্দে ভরপুর দুর্গাপুরের ছঠ উৎসব
ছঠ উৎসবকে ঘিরে দুর্গাপুর শহরে দেখা গেছে ভক্তির বন্যা। ঘাট পরিষ্কার, আলোকসজ্জা, নিরাপত্তা ব্যবস্থা— সব কিছুতেই নজর দিচ্ছে প্রশাসন। মহিলারা থাল সাজিয়ে সূর্যদেবের আরাধনায় মগ্ন, আর শহরজুড়ে প্রতিধ্বনিত হচ্ছে ছঠ গানের সুর।