কুলটি থেকে সত্যেন্দ্র যাদবের প্রতিবেদন : কুলটির ওয়ার্ড ৭০ এর অধীনে অবস্থিত লোকো লাইন হরিজন বসতিতে বৃহস্পতিবার রাতে ছঠ উৎসব চলাকালীন ভয়ানক হামলার ঘটনা ঘটে। স্থানীয় প্রতিবেদক সত্যেন্দ্র যাদব জানিয়েছেন, আক্রমণকারীরা লাঠি, রড এবং তলোয়ার দিয়ে পুরুষ ও মহিলাদের উপর আঘাত করে। এই হামলায় তিনজন মাথায় গুরুতর আঘাত পান এবং তিনজন মহিলা গুরুতরভাবে আহত হন।
ঘটনাস্থলে পুলিশ, এলাকায় আতঙ্ক ও ক্ষোভ
খবর পাওয়া মাত্রই কুলটি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের বারাকর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। এই হামলার কারণে এলাকায় ব্যাপক আতঙ্কের আবহ তৈরি হয়েছে এবং ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয়দের মতে, এটি একটি পূর্বের চলমান জুয়ার ঘাঁটি নিয়ে বিবাদের ফল। ছঠ পূজার ভিড়ের সুযোগ নিয়ে এই হামলা চালানো হয়েছে।
ক্ষুব্ধ জনতা থানা ঘেরাও করে, অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি
আহত পরিবারের সদস্যরা কুলটি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেও, যথাযথ ব্যবস্থা না নেওয়ায় স্থানীয়রা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তারা থানার সামনে জমায়েত হয়ে হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানান। পুলিশের আশ্বাসে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়, তবে বাসিন্দারা দ্রুত সুবিচারের আশায় রয়েছেন।
নারী ও বৃদ্ধাও রেহাই পাননি এই বর্বর হামলায়
আক্রান্তদের মধ্যে ৩০ বছর বয়সী সিকান্দার হরিজন, মহেন্দ্র দাস এবং সন্তোষ নিদাস গুরুতর আহত হয়েছেন। এমনকি, ছঠ উপবাস পালনকারী বৃদ্ধা মলতি দেবীও আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে হরিজন সম্প্রদায়ের লোকজন ভীতসন্ত্রস্ত এবং স্থানীয়রা অভিযোগ করছেন যে, তাঁরা হরিজন হওয়ার কারণে তাদের কণ্ঠস্বর উপেক্ষিত হচ্ছে।
পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ, সুবিচারের আশায় হরিজন সম্প্রদায়
এলাকার বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন, হরিজন সম্প্রদায়ের হওয়ার কারণে তাদের প্রার্থনাগুলি উপেক্ষিত হচ্ছে। পুলিশ যেন অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেফতার করে এবং হরিজন সম্প্রদায়কে সুবিচার প্রদান করে, এটাই তাদের চাওয়া।