📍আসানসোল | বিশেষ প্রতিবেদন:
ইস্টার্ন কোলফিল্ডস লিমিটেড (ECL)-এর শ্রীপুর সাতগ্রাম এলাকার ভানোড়া কোলিয়ারি অন্তর্গত চরনপুর ওপেন কাস্ট খনির সম্প্রসারণ ঘিরে চরনপুরহাটতলা অঞ্চলে চরম উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। সম্প্রসারণের আওতায় খনিকে আরও বড় আকারে তৈরি করা হচ্ছে, যার ফলে স্থানীয়দের ঘরবাড়ি ও জীবনধারার ওপর প্রভাব পড়ার আশঙ্কা প্রবল।
মঙ্গলবার থেকে প্রায় ১২৮টি পরিবারকে দ্বিতীয়বার নোটিশ পাঠানো শুরু হয়েছে। যার মধ্যে ৪০-৪৫টি পরিবার নোটিশ গ্রহণ করলেও, বহু পরিবার তা নিতে অস্বীকার করেছে। যাঁরা নোটিশ নেননি, তাঁদের বাড়ির গায়ে জোর করে নোটিশ সেঁটে দেওয়া হয়েছে।
👮♂️ নোটিশ ঘিরে বিক্ষোভ ও সংঘাত:
নোটিশ বিতরণের সময় ইসিএলের ডেপুটি পার্সোনাল ম্যানেজার রণবীর রাঠোর, ইসিএলের নিরাপত্তা কর্মী এবং কিছু মহিলা কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
নোটিশে ৬ আগস্ট তারিখ উল্লেখ করা হয়েছে এবং ওইদিন কাজরা (ইসিএল অফিস)-এ উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।
তবে, নোটিশ বিতরণের পরপরই এলাকা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। ইসিএল টিম ফিরে যাওয়ার সময় কিছু গ্রামবাসী ক্ষোভে ফেটে পড়ে এবং আক্রমণ চালানোর চেষ্টা করে। নিরাপত্তাকর্মীদের ঘিরে বিক্ষোভ শুরু হয় এবং প্রচণ্ড হট্টগোল দেখা যায়।
🔥 গ্রামবাসীদের ক্ষোভ:
“আমরা বারবার বলছি— মাটির নিচে কয়লা থাকলে থাকুক, আমাদের মাথার উপর ছাদ তো থাক!
যতদিন না পুনর্বাসন ও উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ পাব, আমরা এক ইঞ্চিও জমি ছাড়ব না।”
– এক ক্ষুব্ধ মহিলা বাসিন্দা, চরনপুরহাটতলা
গ্রামবাসীদের দাবি, তাদের উপযুক্ত পুনর্বাসন, কর্মসংস্থান ও ক্ষতিপূরণ না দিয়ে জোর করে ঘরবাড়ি ছাড়তে বাধ্য করা হচ্ছে। কেউ কেউ বলেছেন, “নোটিশ মানে উচ্ছেদ নয়। আমরা ন্যায্য অধিকার ছাড়া সরব না।”
⚠️ পুলিশ মোতায়েনের সম্ভাবনা:
বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চলছে। সূত্রের খবর, প্রশাসনের পক্ষ থেকে এলাকা পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে এবং প্রয়োজনে পুলিশ মোতায়েন করা হতে পারে।
🔍 সামাজিক দৃষ্টিকোণ থেকে:
এই ঘটনাটি আবারও প্রমাণ করলো যে, খনিজ উন্নয়নের নামে আজও আদিবাসী ও দরিদ্র মানুষদের জীবন-জীবিকা লুটে নেওয়া হচ্ছে। চরনপুরবাসীর লড়াই শুধু জমির নয়, অস্তিত্ব রক্ষার।