• nagaland state lotteries dear

২১ জুলাইয়ে শহর অচল নয়! সমাবেশের ভেন্যু বদলানোর ইঙ্গিত হাইকোর্টের

কলকাতা: শহরের প্রাণকেন্দ্র এসপ্লানেডের ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে প্রতি বছর তৃণমূল কংগ্রেসের শহীদ দিবস সমাবেশে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়—এই অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলার শুনানিতে কলকাতা হাইকোর্ট বৃহস্পতিবার মৌখিক পর্যবেক্ষণে জানায়, আগামী বছর থেকে এই সমাবেশের ভেন্যু পরিবর্তন করা উচিত।

বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ বলেন, “শেষ মুহূর্তে এ বছরের ভেন্যু পরিবর্তন করব না, কিন্তু আগামী বছর থেকে শহীদ মিনার, ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ড বা সল্টলেক স্টেডিয়ামের মতো জায়গায় সমাবেশ হোক। রাজনৈতিক আবেগ থাকতেই পারে, কিন্তু স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠান হোক, রাস্তায় নয়।”

এ বছর ২১ জুলাই সোমবার পড়ায় অফিসগামী ও সাধারণ মানুষজনের ভোগান্তি নিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন আইনজীবী শামীম আহমেদ। আদালতে তিনি বলেন, “সরকারি অফিস খোলা থাকবে, রাস্তাঘাট পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাবে, মানুষ কোথায় যাবে?”

বিচারপতি বলেন, “এভাবে কর্মদিবসে শহর অচল করে কর্মসূচি চলতে পারে না। পুলিশ কিভাবে ট্রাফিক সামলাবে?”

এদিকে, তৃণমূলের পক্ষে আইনজীবী বিশ্বরূপ ভট্টাচার্য দাবি করেন, “এই সমাবেশ ১৩ বছর ধরে চলে আসছে। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলার মাধ্যমে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে।” রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত বলেন, “প্রধানমন্ত্রী বা রাষ্ট্রপতি এলে ট্রাফিক কন্ট্রোল হয়, দুর্গাপুজোতেও হয়। এটাই কি দোষের?”

তবে বিচারপতি পাল্টা বলেন, “আপনারা কি বলতে পারেন সেদিন কোনও যানজট হবে না? কলকাতার পুলিশ কমিশনার একটি হলফনামা দিক, যেখানে বলা থাকবে শহর অচল হবে না।”

আদালত আরও বলেন, “২১ জুলাই পালন হোক, কিন্তু বাস দখল, রাস্তা বন্ধ, শহর অচল করে নয়।”

শেষ পর্যন্ত আদালত নির্দেশ দেয় যে, তৃণমূল এবং কলকাতা পুলিশ—দু’পক্ষকেই নিশ্চিত করতে হবে যে ২১ জুলাই শহরে কোনও ট্রাফিক বিঘ্ন না ঘটে।

কলকাতা পুলিশ কমিশনারকে একটি অঙ্গীকারনামা জমা দিতে বলা হয়েছে। শুক্রবার এই বিষয়ে ফের চূড়ান্ত শুনানি হবে বলে জানানো হয়েছে।

🔍 বিশেষ দিক:
এই ২১ জুলাই ১৯৯৩ সালে পুলিশের গুলিতে নিহত ১৩ জন কর্মীর স্মরণে আয়োজিত সমাবেশটি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবনের এক মোড় ঘোরানো মুহূর্ত হিসেবে বিবেচিত। কিন্তু এখন শহরের বাস্তবতা বদলেছে—এমনটাই বুঝিয়ে দিল হাইকোর্ট।

ghanty

Leave a comment