আসানসোল/বার্নপুর। কেন্দ্রীয় সরকার বার্নপুরে অবস্থিত স্টিল অথরিটি অব ইন্ডিয়া লিমিটেড (সেল)–এর ইন্ডিয়ান আয়রন অ্যান্ড স্টিল প্ল্যান্ট (আইএসপি)-এর আধুনিকীকরণের জন্য বিশাল পদক্ষেপ নিয়েছে। এই প্রকল্পে ৪৫,৮১০ কোটি টাকার লক্ষ্য ধার্য করা হয়েছে। এতে প্ল্যান্টের উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি, আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার এবং শিল্পোন্নয়নের পাশাপাশি হাজার হাজার বেকার যুবকের জন্য কর্মসংস্থানের নতুন দরজা খুলে যাবে বলে আশাবাদী স্থানীয় মানুষ।
কিন্তু এই বিনিয়োগের ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বিজেপি ও তৃণমূল কংগ্রেস পরস্পরের বিরুদ্ধে তোপ দাগতে শুরু করেছে।
👉 বিজেপির অবস্থান
বিজেপির পশ্চিম বর্ধমান জেলা সভাপতি দেবতনু ভট্টাচার্য অভিযোগ করেছেন, “তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত কিছু নেতা এই বিশাল তহবিল লুট করার ষড়যন্ত্র করছে। বিজেপি বিষয়টি কড়া নজরে রাখছে। ৪৫,৮১০ কোটির একটি টাকাও গায়েব হতে দেওয়া হবে না।”
বিজেপি নেতা সুরেন্দ্র অধিকারী আরও ঘোষণা করেছেন যে বেকার যুবকদের চাকরি প্রদানের দাবিতে তারা অভিযোগপত্র দেবেন, সভা-সমাবেশ করবেন এবং বৃহত্তর আন্দোলনে নামবেন।
👉 তৃণমূলের পাল্টা আক্রমণ
তৃণমূল নেতা অশোক রুদ্র বিজেপির অভিযোগকে ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেছেন, “আমরা বহু বছর ধরে বার্নপুর সেল আইএসপি থেকে স্থানীয় যুবকদের চাকরির দাবি করে আসছি। বিজেপি শুধু রাজনীতি করছে।”
👉 স্থানীয় মানুষের আশা
আসানসোল-বার্নপুরের সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা, এই বিপুল বিনিয়োগ বাস্তবায়িত হলে শুধু শিল্প নয়, গোটা অঞ্চলের অর্থনীতিই বদলে যাবে। অনেক প্রযুক্তি শিক্ষিত যুবক দীর্ঘদিন ধরে চাকরির অভাবে হতাশ। তাঁদের মতে, এই প্রকল্প হলে “বেকারত্ব কমানোর এক সুবর্ণ সুযোগ” তৈরি হবে।
👉 শিল্পোন্নয়ন নাকি রাজনৈতিক লড়াই?
কেন্দ্রের এই পরিকল্পনা একদিকে যেমন শিল্পোন্নয়ন ও কর্মসংস্থান তৈরি করতে পারে, তেমনই বিজেপি-তৃণমূলের রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের কারণে বিষয়টি ক্রমেই জটিল হয়ে উঠছে। এখন দেখার বিষয়, ৪৫,৮১০ কোটি টাকার এই প্রকল্প বাস্তবে কতটা ফলপ্রসূ হয় এবং স্থানীয় বেকার যুবকদের কতটা সুযোগ এনে দেয়।












