⚠️ প্রশ্নের মুখে প্রশাসন, নদী পাহারায় এত গাফিলতি কেন? ক্ষোভে ফুঁসছে স্থানীয়রা

single balaji

শনিবার সকাল ১১টা নাগাদ সাঁকতোড়িয়া ফাঁড়ির অন্তর্গত দিসেরগড় পীরস্থান দামোদর নদীর ঘাটে এক হৃদয়বিদারক দুর্ঘটনা ঘটে। বার্নপুর রেহমতনগর মাদ্রাসার দুই ছাত্র স্নানে নেমে নদীতে ভেসে গিয়ে প্রাণ হারায়।

মৃত ছাত্রদের নাম তানভীর আলম (১৫, রেহমতনগর) ও রাকিব আলম (১৫-১৬, আসানসোল বাবু তালাবের বাসিন্দা)। জানা গেছে, ওইদিন সাতজন সমবয়সী কিশোর মাজারে ঘুরতে এসেছিল। তাদের মধ্যে তানভীর ও রাকিব একটি বল নিয়ে নদীতে নেমে স্নান করতে থাকে। বাকিরা বালির উপরে খেলায় মত্ত ছিল। হঠাৎ জলের স্রোতে ভেসে যায় ওই দুই কিশোর।

স্থানীয়রা প্রথমে উদ্ধারকাজ শুরু করে, পরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা দলকে খবর দেওয়া হয়। তবে সন্ধ্যা পর্যন্ত তাদের কোনো খোঁজ মেলেনি।

তৃণমূলের নেতা মো. আমজাদ আনসারি বলেন—

“ওই সাতজন মাদ্রাসার ছাত্র না জানিয়েই ঘুরতে বেরিয়েছিল। দোকানদাররা নদীতে নামতে মানা করেছিল। কিন্তু তবুও তারা নেমে পড়ে। আগে নদীতে বালি থাকলে গভীরতা কম হতো, কিন্তু এখন বালুমাফিয়াদের কারণে নদী ভীষণ গভীর হয়ে গেছে। এত বড় নদী পাহারা দেওয়া কোনো কমিটির পক্ষে সম্ভব নয়।”

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ট্রাক্টর ও টেম্পো দিয়ে বালি তোলার কারণে নদীর প্রকৃত ধারাবাহিকতা নষ্ট হয়েছে। ফলে যেখানে আগে মানুষ নিরাপদে স্নান করতে পারত, এখন সেখানে প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা ঘটছে।

ঘটনার পর এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তানভীর ও রাকিবের পরিবারে এখন মাতমের পরিবেশ। এলাকাবাসীর দাবি— নদীর বিপজ্জনক স্থানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানো হোক এবং বালুমাফিয়াদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হোক।

👉 প্রশ্ন উঠছে, প্রশাসনের গাফিলতির কারণে আর কত পরিবারকে প্রিয়জন হারাতে হবে?

ghanty

Leave a comment