বার্নপুর |
শুক্রবার গভীর রাতে হঠাৎই বার্নপুরে তাণ্ডব চালাল প্রশাসনের বুলডোজার। কোনো রকম পূর্ব সতর্কতা বা লিখিত নোটিশ ছাড়াই তিনটি দোকান গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়, যার মধ্যে দুটি ছিল মাটনের দোকান এবং একটি ছিল চায়ের দোকান। এই হঠাৎ হামলার মতো ঘটনার ফলে এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে চরম ক্ষোভ ও উত্তেজনা।
💥 “রাতের ঘুম ভেঙে দেখলাম – দোকান নেই, সব শেষ!”
স্থানীয় দোকানদারদের বক্তব্য, প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুধু মুখে বলা হয়েছিল দোকান সরাতে।
তারা সকালের সময় চেয়ে অনুরোধ করেছিলেন, কিন্তু কেউ শোনেনি।
“রাতেই বুলডোজার নামিয়ে সব ভেঙে দিলো – এটা কোনো মানুষের কাজ?” – বললেন এক দোকানদার।
❓ কোন দপ্তর দিল এই নির্দেশ? কারা এর পিছনে?
দোকানদারদের অভিযোগ, এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি কোন দপ্তর বা আধিকারিকের নির্দেশে এই ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছে। কেউ কেউ বলছেন, থানা চত্বর জল জমে যাচ্ছিল, সেই কারণেই দোকান ভাঙা হয়েছে। তবে এর কোনো লিখিত বা প্রশাসনিক প্রমাণ নেই।
🧑🍳 “এগুলো শুধু দোকান ছিল না – এ ছিল আমাদের সংসার!”
একজন মাটন বিক্রেতা বলেন—
“প্রতিদিনের খাওয়া-দাওয়া এই দোকানের ওপর নির্ভর করত। আজ কিছুই নেই। শুধু ধুলো আর পাথর।”
আরেকজন চায়ের দোকানদার বললেন—
“এক কাপ চায়ে মানুষ সকাল শুরু করত, এখন শুধু চোখে জল।”
🚨 প্রশাসনের বিরুদ্ধে সরব জনতা
ঘটনার পর থেকেই বার্নপুরের বাজার এলাকায় তীব্র উত্তেজনা। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলছেন,
“রাতের অন্ধকারে এভাবে হামলা চালানো অমানবিক এবং আমাদের জীবিকার ওপর সরাসরি আঘাত।”
তারা ক্ষতিপূরণ, তদন্ত এবং ভবিষ্যতে এমন আচরণের বিরুদ্ধে সময়মতো নোটিশ দেওয়ার দাবি তুলেছেন।
📜 দোকানদারদের ৪টি প্রধান দাবি:
- ভাঙা দোকানগুলোর পূর্ণ ক্ষতিপূরণ
- দায়ী আধিকারিকদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা
- ভবিষ্যতে লিখিত ও আগাম নোটিশ
- বিকল্প রোজগারের সুযোগ