আসানসোল: পশ্চিম বর্ধমান জেলায় ব্রহ্মর্ষি সমাজের পারিবারিক পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় বুধবার আসানসোলের কালিপাহাড়ির ঘাঘরবুড়ি মন্দির প্রাঙ্গণে। এই অনুষ্ঠানে পশ্চিম বর্ধমান ছাড়াও কলকাতা, দিল্লি এবং অন্যান্য বহু স্থানের ব্রহ্মর্ষি সমাজের সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন।
বিশিষ্ট অতিথিদের বক্তব্য:
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাহিত্যিক ড. আনন্দ বর্ধন, অধ্যাপক বেদ রামান পাণ্ডে এবং সিবি শর্মা। ড. আনন্দ বর্ধন বলেন, “ব্রহ্মর্ষি সমাজের মূল নাম ভূমি অগ্রহর ব্রাহ্মণ। এই ব্রাহ্মণরা বৈদিক জ্ঞান ও সাহসিকতার জন্য জমি আকারে সম্পদ লাভ করেছিলেন। চাণক্য থেকে শুরু করে স্বামী সহজনন্দ সরস্বতী পর্যন্ত, দেশের গঠন ও সমাজে তাদের অবদান অসামান্য। আমাদের সমাজ সবসময় সংগ্রামের মধ্য দিয়ে এগিয়েছে এবং সনাতন ধর্ম ও জাতির সুরক্ষার চেতনাকে বজায় রেখেছে।”
সমাজ সংগঠনের প্রয়োজনীয়তা:
সচিব কল্যাণ কুমার সিংহ জানান, “আজকের এই পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের মূল উদ্দেশ্য সমাজকে সংগঠিত করা। আমাদের সমাজে বিভিন্ন উপাধি রয়েছে, যার ফলে অনেক সময় আমরা জানি না কারা আমাদের সমাজের অন্তর্ভুক্ত। এর ফলে বিবাহ এবং অন্যান্য কাজে সমস্যা হয়। এই পুনর্মিলনীর মাধ্যমে আমরা একে অপরকে চিনতে পারব এবং সমাজের উন্নয়নের জন্য একত্রে কাজ করতে পারব।”
অনুষ্ঠানের আয়োজকরা:
জেলা সভাপতি দয়াশঙ্কর রায়, কোষাধ্যক্ষ সুজিত কুমার, বিশ্ব রায়, বিজয় সিংহ, এসএমপি সিংহ, নবলেশ সিংহ, চুন্নু তিওয়ারি, চিন্টু শর্মা, মদন ঠাকুর, সঞ্জয় রায় প্রমুখরা অনুষ্ঠানের সফলতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
উদ্যোগ ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা:
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ব্রহ্মর্ষি সমাজের প্রধান লক্ষ্য শিক্ষা থেকে জাতি গঠনের ক্ষেত্রে নেতৃত্ব প্রদান করা। তারা সংস্কৃতি রক্ষার জন্য এবং সমাজের ঐতিহ্য ও আদর্শকে বজায় রাখার জন্য অবিরাম কাজ করে চলেছে।