নিজস্ব সংবাদদাতা : নিতুরিয়া ব্লকের বোড়া গ্রামের লাইব্রেরি ভবন ধসে পড়ার কারণে সমস্ত বই প্যাকেটবন্দী করে রাখা হয়েছে। ভবনটি যে কোনো সময় ধসে পড়তে পারে। ভয়ে গ্রন্থাগারিক গাছের নিচে কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন। লাইব্রেরি প্রায় ১০ বছর ধরে জরাজীর্ণ অবস্থায় ছিল, কিন্তু সরকার তার সংস্কারের জন্য কোনো উদ্যোগ নেয়নি।
এ বিষয়ে গ্রামের বাসিন্দারা জেলা কার্যালয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন এবং লাইব্রেরি সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন। এখন দেখার বিষয় হল, কবে এই লাইব্রেরি আবার পাঠকদের জন্য উপযোগী হবে।
পুরুলিয়া জেলার গ্রন্থাগারিক সুমন চট্টোপাধ্যায় বলেন, “বোড়া গ্রামের লাইব্রেরির খারাপ অবস্থা জানার পর, আমি এই বিষয়ে সক্রিয় হয়েছি। শীঘ্রই লাইব্রেরি আবার পাঠকদের জন্য উপযোগী হবে।”
উল্লেখযোগ্য যে, এই বাণী গ্রন্থাগারটি ১৯৫২ সালে বোড়া গ্রামের সংস্কৃতিপ্রেমী বাসিন্দাদের নিবেদিত প্রচেষ্টায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। লাইব্রেরিটি আশির দশকে সরকারি স্বীকৃতি পায়। লাইব্রেরি ভবনটি গ্রামের লোকদের দ্বারা দান করা জমিতে নির্মিত হয়েছে। একসময় লাইব্রেরিতে পাঠকদের ভিড় দেখার মতো ছিল। তখন গ্রামের যুবক-যুবতীরা চাকরির পরীক্ষার জন্য লাইব্রেরি থেকে বই সংগ্রহ করতেন। সেই একই বই পড়ে আজ অনেক যুবক-যুবতী বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে কাজ করছেন। যুবক-যুবতীদের পাশাপাশি গ্রামের প্রবীণরাও নিয়মিত লাইব্রেরিতে গিয়ে বই পড়তেন। তবে বর্তমানে লাইব্রেরির অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। সেই সোনালি দিনগুলো আর নেই।
লাইব্রেরি সূত্রে জানা গেছে, নাটক, গল্প, উপন্যাস ছাড়াও চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য বইও রয়েছে। লাইব্রেরিতে মোট সাত হাজার বই রয়েছে।