আসানসোল:
উত্তরবঙ্গের নাগরকাটায় বিজেপি প্রতিনিধিদলের উপর চাঞ্চল্যকর হামলার ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে সমগ্র বিজেপি সংগঠন। হামলার শিকার হন বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু ও বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। রবিবার বন্যা দুর্গত এলাকায় ত্রাণ বিতরণের পর ফেরার পথে তাঁদের গাড়ি বহরে হঠাৎই একদল দুষ্কৃতী আক্রমণ চালায় বলে অভিযোগ। ভয়ঙ্কর পাথরবৃষ্টিতে সাংসদ খাগেন মুর্মুর মাথায় আঘাত লাগে, বিধায়ক শঙ্কর ঘোষও গুরুতর আহত হন।
এই ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার কুলটির রাণীতলা মোড়ে পথ অবরোধে সামিল হন শতাধিক বিজেপি কর্মী। নেতৃত্বে ছিলেন কুলটির বিধায়ক ডা. অজয় পোদ্দার।
অবরোধে ফেটে পড়ে বিজেপি কর্মীদের ক্ষোভ — “বাংলায় গুণ্ডারাজ চলবে না”, “আমাদের সাংসদের উপর হামলা কেন?” — এমন স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে রাস্তাজুড়ে।
💬 ডা. অজয় পোদ্দার ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন:
“জনপ্রতিনিধিদের উপর হামলা মানে গণতন্ত্রের উপর হামলা। খগেন মুর্মু ও শঙ্কর ঘোষ বন্যার্ত মানুষদের সাহায্য করতে গিয়েছিলেন, কিন্তু তাঁদের উপর প্রাণঘাতী হামলা চালানো হয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই এবং দোষীদের কঠোর শাস্তি চাই।”
তিনি আরও বলেন —
“রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে। সাংসদ ও বিধায়ক যদি নিরাপদ না থাকেন, তবে সাধারণ মানুষের অবস্থা কল্পনাও করা যায় না। বিজেপি এই বর্বরতা মেনে নেবে না।”
⚡ রাস্তায় বিক্ষোভ, প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকাল থেকেই বিজেপি কর্মীরা রাণীতলা এলাকায় অবস্থান বিক্ষোভে বসেন। দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হলেও পুলিশের উপস্থিতিতে পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। বিজেপি নেতৃত্ব জানিয়েছে, অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতার না করা হলে রাজ্যজুড়ে আরও বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে।
🕯️ ঘটনার পটভূমি
বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু ও বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ গত রবিবার উত্তরবঙ্গের বন্যাপীড়িত এলাকায় ত্রাণ বিতরণে গিয়েছিলেন। ফেরার পথে নাগরকাটা এলাকায় তাঁদের গাড়ি বহরে দুষ্কৃতীদের হামলা চলে। একাধিক গাড়ির কাচ ভেঙে যায়, এবং তাঁদের আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
🗣️ বিজেপির অভিযোগ — “সরকার নির্বিকার দর্শক”
বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, রাজ্যে বিরোধী নেতাদের উপর হামলা ক্রমশ বাড়ছে, অথচ রাজ্য সরকার চুপ করে আছে।
ডা. পোদ্ধারের বক্তব্য,
“সরকার চাইলে এক ঘন্টার মধ্যেই দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করতে পারত, কিন্তু প্রশাসন নীরব। এই নীরবতাই প্রমাণ করছে, শাসকদলের সাপোর্ট রয়েছে।”
📢 বিজেপির হুঁশিয়ারি
বিজেপি নেতৃত্ব স্পষ্ট জানিয়েছে —
“যদি দ্রুত দোষীদের গ্রেফতার করা না হয়, তবে রাজ্যজুড়ে তীব্র আন্দোলনে নামবে বিজেপি।”