আসানসোলের উষাগ্রামে টায়ারে আগুন, বিজেপির প্রতিবাদে থমকে গেল শহর

unitel
single balaji

আসানসোল:
উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়িতে বন্যা দুর্গতদের সঙ্গে দেখা করতে এবং ত্রাণসামগ্রী প্রদান করতে গিয়েছিলেন বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু ও বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। অভিযোগ, সেই সময় কিছু দুষ্কৃতী হঠাৎ তাঁদের উপর হামলা চালায়। এতে দুই নেতাই আহত হন।

এই ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার আসানসোলের উষাগ্রাম জিটি রোডে বিজেপি মণ্ডল ১, ২ ও ৩-এর উদ্যোগে তীব্র বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। ক্ষুব্ধ বিজেপি কর্মীরা রাস্তায় টায়ারে আগুন জ্বেলে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন।

🔥 “জনপ্রতিনিধিদের উপর হামলা মানে গণতন্ত্রের উপর আঘাত” — বিজেপি কর্মীদের হুঁশিয়ারি

প্রায় ৪০ মিনিট ধরে রাস্তায় অবরোধ চলায় যান চলাচল সম্পূর্ণভাবে ব্যাহত হয়। দীর্ঘ যানজটের ফলে এলাকার বাসিন্দা ও যাত্রীদের ভোগান্তি চরমে ওঠে।
বিক্ষোভ চলাকালীন কর্মীরা স্লোগান দিতে থাকেন —

“গুণ্ডারাজ চলবে না!”, “খগেন মুর্মুর উপর হামলার বিচার চাই!”

হামলার ঘটনায় উত্তপ্ত রাজনীতি

বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি নেতা-কর্মীদের উপর হামলা ক্রমশ বেড়ে চলেছে। রাজ্য প্রশাসন ইচ্ছে করেই নীরব দর্শক হয়ে রয়েছে।
এক বিজেপি মণ্ডল সভাপতি বলেন,

“আজ যদি সাংসদ-বিধায়করা নিরাপদ না থাকেন, তাহলে সাধারণ মানুষের অবস্থা কল্পনা করা কঠিন। এই রাজ্যে আইনের শাসন বলে কিছু নেই।”

🕯️ ঘটনার পটভূমি

গত রবিবার খগেন মুর্মু ও শঙ্কর ঘোষ উত্তরবঙ্গের বন্যা দুর্গতদের হাতে ত্রাণ তুলে দিতে যান। কিন্তু ফেরার পথে নাগরাকাটা এলাকায় তাঁদের গাড়ির মিছিলে হামলা চালানো হয়। পাথর ছোঁড়া হয়, ফলে দুই নেতা আহত হন।

🗣️ বিজেপির দাবি — “রাজ্য সরকার নীরব দর্শক”

আসানসোল জেলা বিজেপি নেতৃত্ব বলেন,

“এই হামলার নেপথ্যে তৃণমূলের মদত রয়েছে। রাজ্য প্রশাসন চাইলে অভিযুক্তদের এক ঘন্টার মধ্যেই ধরতে পারত, কিন্তু তারা চুপ করে আছে।”

🚨 পুলিশের হস্তক্ষেপে অবরোধ প্রত্যাহার

পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে কর্মীদের শান্ত করার চেষ্টা করে। দীর্ঘ প্রায় ৪০ মিনিট পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে বিজেপি জানিয়ে দিয়েছে,

“যদি দোষীদের দ্রুত গ্রেফতার না করা হয়, তাহলে রাজ্যজুড়ে আরও বৃহত্তর আন্দোলন হবে।”

ghanty

Leave a comment