আসানসোল: ১৯৭৫ সালের ২৫ জুন দেশে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর জারি করা জরুরি অবস্থার প্রতিবাদে, বুধবার সন্ধ্যায় পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোলের বার্নপুর এলাকায় বিজেপির তরফে “গণতন্ত্র বাঁচাও সংকল্প সভা” (Gantantra Bachao Sankalp Sabha) আয়োজিত হয়।
এই উপলক্ষে একটি বিশাল মিছিল বার্নপুরের ত্রিবেণী মোড় থেকে শুরু হয়ে বার্নপুর বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত গিয়ে এক বিশাল সভায় পরিণত হয়।
উপস্থিত ছিলেন বিজেপির হেভিওয়েট নেতারা
এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন আসানসোল দক্ষিণের বিজেপি বিধায়িকা তথা রাজ্য বিজেপির সম্পাদক অগ্নিমিত্রা পাল, রাজ্য বিজেপির বর্ষীয়ান নেতা রাহুল সিনহা, কুলটির বিজেপি বিধায়ক ডঃ অজয় পোদ্দার, আসানসোল সাংগঠনিক জেলা সভাপতি দেবতনু ভট্টাচার্য এবং রাজ্য কমিটির সদস্য কৃষ্ণেন্দু মুখার্জি।
রাহুল সিনহার তোপ: আজও জরুরি অবস্থার ছায়া পশ্চিমবঙ্গে
সভায় ভাষণ দিতে গিয়ে রাহুল সিনহা বলেন, “১৯৭৫ সালের ২৫ জুন দেশে জরুরি অবস্থা জারি করে ভারতীয় গণতন্ত্রকে রুদ্ধ করা হয়েছিল। সেই দিনটির প্রতিবাদেই আজ আমরা ‘কালা দিবস’ পালন করছি। সেই সময় অনেক মানুষ ভয়াবহ পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছিলেন।”
অগ্নিমিত্রা পালের বিস্ফোরক অভিযোগ: ১৪ বছর ধরে চলছে অঘোষিত ইমারজেন্সি
অগ্নিমিত্রা পাল বলেন, “গত ১৪ বছর ধরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসনে পশ্চিমবঙ্গে চলছে এক অঘোষিত জরুরি অবস্থা। দু’দিন আগেই বিধানসভায় বিজেপি বিধায়কদের মারধর করে জোর করে বাইরে বের করে দেওয়া হয়েছে। বিধানসভা আর রাজপথ—দুটোই যেন আজ অঘোষিত কারাগার হয়ে উঠেছে। গণতন্ত্র বলতে কিছু নেই।”
জনগণের প্রবল সাড়া, স্লোগানে মুখরিত বার্নপুর
সমাবেশে উপস্থিত জনতা “গণতন্ত্র বাঁচাও”, “মমতা হঠাও”, “রাজ্যে বিজেপি আনো” প্রভৃতি স্লোগানে মুখর ছিলেন। অনেকে কালো ব্যাজ পরে এবং কালো পতাকা হাতে প্রতিবাদে শামিল হন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষণ
বিশেষজ্ঞদের মতে, বিজেপি এই ধরনের জনসংযোগ মূলক কর্মসূচির মাধ্যমে মমতা সরকারকে কোণঠাসা করতে চাইছে এবং আগামী বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে।
উপসংহার:
২৫ জুন শুধু অতীতের জরুরি অবস্থার স্মৃতি নয়, বরং বর্তমান পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক অবস্থা সম্পর্কেও গভীর প্রশ্ন তুলে দিল বার্নপুরের এই সভা। রাজ্যের জনগণ এর উত্তর কবে দেবে, তা এখন সময়ই বলবে।