আসানসোল, পশ্চিম বর্ধমান:
৯ জুলাই মঙ্গলবার, ১০টি ট্রেড ইউনিয়নের আহ্বানে ডাকা ভারত বন্ধে আসানসোল শিল্পাঞ্চলে প্রবল প্রভাব দেখা গেল।
সকাল থেকে বামপন্থী কর্মী-সমর্থকেরা রাস্তায় নেমে দোকানপাট বন্ধ করান এবং বিভিন্ন মোড়ে রাস্তায় অবরোধ সৃষ্টি করে যান চলাচল স্তব্ধ করে দেন।
🚧 আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দু: আসানসোলের বিএনআর মোড়
বিএনআর মোড় হয়ে ওঠে আন্দোলনের মূল কেন্দ্র।
চারদিকের রাস্তা পুরোপুরি অবরুদ্ধ করে বাম কর্মীরা অফিসগামী কর্মচারী, ছাত্রছাত্রী এবং এমনকি এম্বুলেন্স পরিষেবাও আটকে দেন।
🔸 এক অভিভাবক বলেন—
“ছেলে স্কুলে পৌঁছাতে পারল না, রাস্তায় দাঁড়িয়ে কেবল চেঁচামিচি শুনতে হলো।”
📢 বিক্ষোভের মূল কারণ কী?
নেতারা বলেন, এই প্রতিবাদ:
- শ্রমিকদের শোষণ ও কাজের অভাব (১০০ দিনের কাজের দুর্নীতি)
- শিক্ষাক্ষেত্রে দুর্নীতি
- কেন্দ্রের জনবিরোধী নীতি
- মূল্যবৃদ্ধি ও বেকারত্ব
- রাজ্য ও দেশজুড়ে স্বৈরাচারী মনোভাব
এই সব কিছুর বিরুদ্ধে একজোট জনপ্রতিরোধের রূপ।
তাঁরা স্পষ্ট জানান,
“এটা কোনো দলের রাজনৈতিক মঞ্চ নয়, এটা সাধারণ মানুষের অধিকার রক্ষার যুদ্ধ।”
👮 নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকলেও সকালেই ভেঙে পড়ে স্বাভাবিক ছন্দ
প্রশাসনের তরফ থেকে পুলিশ মোতায়েন ছিল, কিন্তু সকাল থেকেই বিক্ষোভকারীদের উপস্থিতি ও রাস্তায় জটলা পরিস্থিতি তৈরি করায়
আংশিকভাবে ভেঙে পড়ে শহরের স্বাভাবিক জনজীবন।
কিছু জায়গায় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে দোকানদারদের বচসাও হয়, তবে বড় কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
📝 উপসংহার:
এই ভারত বন্ধের মাধ্যমে আসানসোল দেখিয়ে দিল—
মানুষ এখন চুপ করে থাকার পক্ষে নয়।
অধিকার, রুটি-রোজগার ও ন্যায়ের জন্য লড়াইয়ে রাজপথেই জবাব খুঁজছে জনগণ।