• nagaland state lotteries dear

‘সার্কাস না উৎসব?’ বঙ্গ বিজনেস সামিট নিয়ে বিজেপি-সিপিএমের কটাক্ষ!

কলকাতা : পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির বিনিয়োগ সংক্রান্ত দাবি নিয়ে বঙ্গ গ্লোবাল বিজনেস সামিট (BGBS) ঘিরে তীব্র সমালোচনা শুরু করেছে বিরোধী দলগুলি। বিজেপি ও সিপিএম দুই পক্ষই এই সামিটকে “অপটিক্যাল ইলিউশন” এবং “ভাঁওতা” বলে উল্লেখ করেছে।

বিজেপির বিধায়ক ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন,
“BGBS ইভেন্ট কোনো ব্যবসা বা গ্লোবাল কিছু নয়। এটি শুধুমাত্র একটি চকচকে মোড়কে মোড়া দুই দিনের ভাঁওতা, যা বাংলার শিল্প শূন্যতার বাস্তবতাকে আড়াল করার চেষ্টা মাত্র। মমতা ব্যানার্জির নেতৃত্বে বাংলা কখনোই ব্যবসা-বাণিজ্যের অর্থ হতে পারে না। এই সামিট শুধুমাত্র ভুয়ো MOU সই এবং অর্থহীন ইন্টারেস্ট লেটার প্রকাশের আয়োজন।”

saluja auto

তিনি আরও অভিযোগ করেন যে কলকাতা মেট্রো রেল প্রকল্প, একাধিক রেলওয়ে প্রকল্প এবং বিমানবন্দর সম্প্রসারণের কাজ সবই জমি অধিগ্রহণের সমস্যার কারণে আটকে রয়েছে। শুভেন্দু অধিকারী সরকারের কাছে দ্রুত এই সমস্যাগুলি সমাধানের দাবি জানান।

সিপিএমের কটাক্ষ: ‘BGBS শুধুই উৎসব, বাস্তবে কিছুই হয় না’

সিপিএমের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সম্পাদক মোহাম্মদ সেলিম বলেছেন,
“প্রতিবছর এই সামিট হয় এবং সরকার একটি ‘মেনু’ সাজিয়ে দেয়। কোম্পানিগুলি এসে নিজেদের প্রশংসা করে। কিন্তু যে বিনিয়োগের কথা বলা হয়, তার কোনো বাস্তব রূপ নেই।”

Commercial shops for sale

বিজেপি নেতার তোপ: ‘মমতা সরকারের দাবি প্রমাণ করুন’

বিজেপি রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন,
“এই সামিট শুধুমাত্র ভুয়ো দাবি করার বার্ষিক ইভেন্ট। এটি এক প্রকার সার্কাস। মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেছেন যে দেওচা পাচামি কয়লা ব্লকে কাজ শুরু হবে, যা বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ কয়লা ভাণ্ডার। কিন্তু যদি এটি এত বড় রিজার্ভ হয়, তবে কোল ইন্ডিয়া সেটিকে কেন স্বীকৃতি দেয়নি?”

raja biscuit

তিনি আরও বলেন,
“পশ্চিমবঙ্গ সরকারের দাবি অনুযায়ী গত ১০ বছরে ১৩ লক্ষ কোটি টাকা বিনিয়োগ হয়েছে। তাহলে এই বিনিয়োগ কোথায় হলো? কাকে চাকরি দেওয়া হলো? কোথায় সেই নথি? জনগণ এসব দেখতে চায়।”

বিরোধীদের প্রশ্নের মুখে মমতা সরকারের বিনিয়োগ দাবি

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ধরনের সমালোচনা পশ্চিমবঙ্গে বিনিয়োগ সংক্রান্ত সরকারি প্রচেষ্টার উপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। বিরোধীদের দাবির মুখে সরকার কি বিনিয়োগের নথি প্রকাশ করবে নাকি এই বিতর্ক আরও দীর্ঘায়িত হবে, সেটাই এখন দেখার বিষয়।

ghanty

Leave a comment