কলকাতা, ৯ মার্চ ২০২৫: পশ্চিমবঙ্গের ভোটার তালিকা নিয়ে নতুন বিতর্ক শুরু হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে রাজ্যজুড়ে ভোটার তালিকায় ভুয়া নামের তদন্ত শুরু হতেই তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) এবং বিজেপি (BJP) মুখোমুখি সংঘাতে জড়িয়েছে।
🔍 একই EPIC নম্বরে একাধিক নাম? তৃণমূলের চাঞ্চল্যকর দাবি!

তৃণমূল কংগ্রেস দাবি করেছে যে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় একাধিক ভোটার একই EPIC নম্বরে নথিভুক্ত রয়েছেন এবং বহু ভুয়া ভোটারের সন্ধান পাওয়া গেছে। দলটির দাবি, এটি বিজেপির নির্বাচনী কারচুপির অংশ এবং এর মাধ্যমে রাজ্যের গণতন্ত্রকে প্রভাবিত করার চেষ্টা চলছে।
TMC নেতা অশোক রুদ্র বলেছেন:
🗣️ “বিজেপি পশ্চিমবঙ্গে ভোটার তালিকা বিকৃত করে নির্বাচনে জেতার চেষ্টা করছে। এটি নির্বাচনী গণতন্ত্রের উপর সরাসরি আঘাত!”
🛑 বিজেপির পাল্টা অভিযোগ: “ভূতের নামও আছে ভোটার লিস্টে!”

বিজেপি তৃণমূলের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে উল্টো TMC-কেই ভুয়া ভোটিং করানোর অভিযোগ তুলেছে। বিজেপি নেতা কৃষ্ণদু মুখার্জি দাবি করেছেন যে পাণ্ডবেশ্বরের তৃণমূল বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী-র প্রয়াত পিতা অরিন্দম চক্রবর্তীর নাম এখনও ভোটার তালিকায় রয়েছে, যদিও তাঁর মৃত্যু দুই বছর আগেই হয়েছে।

🗣️ “এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই দেখে নিন, ভূত কোথায় লুকিয়ে আছে! মৃতদের নাম পর্যন্ত ভোটার লিস্টে রাখা হয়েছে, তবে কারচুপির আসল অপরাধী কে?” – কৃষ্ণদু মুখার্জি
বিজেপি দাবি করেছে, “তৃণমূল নিজেরাই মৃতদের নাম ভোটার তালিকায় রেখে ভোট কারচুপি করছে।” তারা নির্বাচন কমিশনের কাছে সম্পূর্ণ ভোটার তালিকার উচ্চস্তরের তদন্তের দাবি জানিয়েছে।

⚖️ নির্বাচন কমিশনের চরম পরীক্ষা! কী হবে পরবর্তী পদক্ষেপ?
এখন প্রশ্ন উঠছে, নির্বাচন কমিশন এই বিতর্কিত ইস্যুতে কঠোর পদক্ষেপ নেবে কি না? নাকি এই লড়াই শুধু রাজনৈতিক অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগেই সীমাবদ্ধ থাকবে?
তৃণমূল ও বিজেপির এই সংঘাতের ফলে বাংলার ভোটের আবহ আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে।