City Today News

monika, grorius, rishi

“মানুষের জীবন রক্ষা জরুরি”: শেখ হাসিনার বিপদে সেনাপ্রধানের ভাইরাল বার্তা!

বিশেষ সংবাদদাতা, ঢাকা: বাংলাদেশে ক্রমবর্ধমান সহিংস বিক্ষোভের প্রেক্ষিতে দেশের সেনাপ্রধান একটি বড় বিবৃতি দিয়েছেন। সূত্রের মতে, শেখ হাসিনা পালানোর আগের রাতে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর জেনারেল ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। সেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, কারফিউ বলবৎ করার জন্য সেনাবাহিনী সাধারণ মানুষের ওপর গুলি চালাবে না। এই তথ্য রাইটার্সকে জানিয়েছেন দুই উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা।

সেনাবাহিনী হাসিনার পক্ষে নেই:
এক ভারতীয় কর্মকর্তার মতে, বৈঠকের পর জেনারেল জামান শেখ হাসিনার অফিসে যোগাযোগ করেন এবং স্পষ্ট জানান যে, তার সেনারা কারফিউ বলবৎ করতে পারবে না। এই বার্তায় পরিষ্কার হয়ে যায় যে হাসিনার সেনাবাহিনীর সমর্থন আর নেই। সেনাপ্রধানের এই বক্তব্য মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায়। সেনাবাহিনীর মুখপাত্র চৌধুরী বলেন, সেনাপ্রধান বলেন, “মানুষের জীবন রক্ষা করা জরুরি,” এবং তিনি তার কর্মকর্তাদের ধৈর্য্য ধরার নির্দেশ দেন। এটি ছিল প্রথম সংকেত যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সহিংস বিক্ষোভকে শক্তি দিয়ে দমন করবে না, যা হাসিনাকে বিপদের মুখে ফেলে দেয়।

শেষ সময়ের হিসাব:
রাইটার্স ১০ জন ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে হাসিনার শাসনের শেষ ৪৮ ঘন্টার ঘটনাপ্রবাহ তুলে ধরেছে, যার মধ্যে ৪ জন বর্তমান সেনা কর্মকর্তা এবং ২ জন বিশেষজ্ঞ ছিলেন। অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, “সহিংস বিক্ষোভের প্রেক্ষিতে সেনাদের মধ্যে অস্থিরতা ছিল। সম্ভবত এ কারণেই সেনাপ্রধানের ওপর চাপ সৃষ্টি হয়েছিল, কারণ সেনারা বাইরে ছিল এবং তারা যা ঘটছিল তা দেখছিল।” অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ শাহদুল আনাম খান সহ বেশ কিছু জ্যেষ্ঠ অবসরপ্রাপ্ত সৈনিকরা সোমবার কারফিউ অমান্য করে রাস্তায় নেমে আসেন। তিনি বলেন, “সেনাবাহিনী আমাদের থামায়নি। তারা তাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছে।”

হাসিনার পালানো:
সোমবার কারফিউয়ের প্রথম দিন, হাসিনা জনগণের প্রাসাদের ভিতরে লুকিয়ে ছিলেন। বাইরে, শহরের রাস্তায় জনতা জড়ো হয়েছিল। বিক্ষোভ নেতাদের আহ্বানে হাজার হাজার মানুষ শহরের কেন্দ্রস্থল দিয়ে মিছিল করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে, ৭৬ বছর বয়সী নেত্রী সোমবার সকালে দেশত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন। এক বাংলাদেশি সূত্র জানিয়েছে, হাসিনা এবং তার লন্ডনবাসী বোন, যিনি তখন ঢাকায় ছিলেন, বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন এবং একসঙ্গে উড়ে যান। দুপুরে তিনি ভারতে চলে আসেন। সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যেই ভারতে আসার অনুমতি চেয়েছিলেন।

নতুন অধ্যায়:
এই ঘটনা বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে, যেখানে সামরিক বাহিনীর ভূমিকা এবং জনতার অসন্তোষ নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। শেখ হাসিনার এমন পালানোর ঘটনা বিশ্বজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।

City Today News

ghanty
monika and rishi

Leave a comment