নগর নিগমের নিষ্ক্রিয়তায় ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা, দ্রুত ত্রাণের দাবি
📍বরাকর |
আসানসোল পৌর নিগমের ৭০ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত বীরিডাঙ্গা এলাকায় প্রবল জলজমাট অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। টানা বৃষ্টিতে এলাকার ড্রেনেজ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় ১৫ থেকে ২০টি পরিবারের ঘরে জল ঢুকে পড়েছে। ফলে অসহায় হয়ে পড়া বাসিন্দারা স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন।
👩👧 “শিশুদের নিয়ে এখানে দিন কাটছে, ঘর ভেসে গেছে!”
একজন মহিলা বলেন,
“সব কিছু জলের নিচে। খাওয়ার, ঘুমানোর কোনও জায়গা নেই। ছোট ছোট সন্তানদের নিয়ে বিদ্যালয়ের একটি কোণে রাত কাটাচ্ছি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো কোনও সাহায্য আসেনি।”
🛑 কিভাবে হল এমন পরিস্থিতি?
স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে নালাগুলি সাফ হয়নি, কোনও প্রিভেন্টিভ অ্যাকশন নেওয়া হয়নি। ফলে বৃষ্টির সঙ্গে সঙ্গে ড্রেন উপচে জল লোকালয়ে ঢুকে পড়ে। এলাকায় জমে থাকা জল বেরোবার কোনও রাস্তা নেই।
🏫 স্কুলে অস্থায়ী রাত্রিবাস
বর্তমানে আক্রান্ত পরিবারগুলি স্থানীয় একটি প্রাথমিক স্কুলে অস্থায়ীভাবে বসবাস করছে। সেখানে নেই পর্যাপ্ত আলো, খাবার বা ওষুধ। শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়ছে, বয়স্কদেরও চরম অসুবিধার মধ্যে দিন কাটছে।
📣 প্রশাসনের প্রতি আক্ষেপ
বাসিন্দারা বলেছেন, পাম্প মেশিন, ত্রাণ সামগ্রী, ওষুধ, খাবার জল পৌঁছানো খুব জরুরি। কিন্তু এখনো পর্যন্ত প্রশাসনের পক্ষ থেকে তেমন কোনো তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না। নগর নিগমের তরফে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেই ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি উঠেছে।
🔍 সমাধানের উপায় কি?
স্থানীয় কাউন্সিলরের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বাসিন্দারা বলেছেন,
“প্রতিবার বর্ষায় একই অবস্থা হয়, কিন্তু কোনো স্থায়ী সমাধান হয় না। এবার যদি ব্যবস্থা না হয়, আন্দোলনে যেতে বাধ্য হব।”
🔚 উপসংহার:
বরাকর বীরিডাঙ্গার এই চিত্র যেন নগর পরিকল্পনার ব্যর্থতার প্রতীক। এখন দেখার, প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা নেয় কি না, নাকি অসহায় মানুষের এই কান্না শুধুই আরেকটা শিরোনাম হয়ে থেকে যাবে।