বারাকার প্রতিনিধি সঞ্জীব কুমার যাদব ||
বারাকার স্টেশনের নিকট বসবাসকারী রমেশ আগরওয়াল ওরফে বিনোদ তাঁর স্ত্রী মীরা দেবীর ৪৪তম বিবাহবার্ষিকীর বিশেষ দিনে বারাকার পিঞ্জরা পোল গোশালায় তুলাদান অনুষ্ঠান আয়োজন করেন। তুলাদান হল সনাতন ধর্মের একটি মহাপুণ্য কর্ম, যার তাৎপর্য স্বয়ং ভগবান শ্রীকৃষ্ণ তাঁর অবতারে ব্যাখ্যা করেছিলেন।
🕉️ সনাতন ধর্মে তুলাদানের মহিমা
রমেশ আগরওয়াল জানান, সনাতন ধর্মে গো সেবার চেয়ে বড় ধর্ম কিছু নেই।
“আজকের দিনটি আমাদের জীবনের খুব গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত। আমরা চাই এই দিনটা শুধুই উৎসব না হয়ে গোমাতার সেবায় উৎসর্গ হোক। তাই তুলাদানের মাধ্যমে গরুর খাদ্যসামগ্রী দান করেছি।”
🎁 বিবাহবার্ষিকীকে পুণ্যের দিনে রূপান্তর
তাঁদের তুলাদানে খল, দানাদার খাদ্য, গুড়, ঘাসসহ নানা গোখাদ্য দান করা হয়। এতে উপস্থিত গোরক্ষা প্রেমী ও ধর্মানুরাগীরা আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।
🐄 পিঞ্জরা পোল গোশালার পক্ষ থেকে বার্তা
গোশালা সভাপতি শিবকুমার আগরওয়াল ও সম্পাদক অর্জুন আগরওয়াল বলেন—
“সম্প্রতি কিছু মানুষ গোশালাকে নিয়ে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছেন। অথচ বাস্তব হলো, এখানে গোমাতার অপার কৃপায় প্রতি মুহূর্তে কেউ চাইলে এসে মনস্কামনা পূরণ করেন এবং গোসেবায় অংশ নেন।”
তাঁরা আরও বলেন, তুলাদান কেবল মকর সংক্রান্তিতেই সীমাবদ্ধ নয়, যখনই কারও ভিতরে গোমাতার সেবার ইচ্ছা জাগে, সে এখানে এসে এই পবিত্র কাজ করতে পারেন।
🙏 সমাজে ধর্মীয় চেতনার বার্তা
শিবকুমার আগরওয়াল শেষ মন্তব্যে বলেন:
“গোমাতার অপার আশীর্বাদে আমরা কৃতজ্ঞ। যারা অপপ্রচার করছেন, আশা করি গোমাতা তাঁদের শুভবুদ্ধি দান করবেন।”