“প্রতিদিন অপমানিত হচ্ছি”— অফিসারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন কর্মীরা

unitel
single balaji

বরাকার সংবাদদাতা (সঞ্জীব কুমার যাদব):
আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের অন্তর্গত পশ্চিম ট্রাফিক বিভাগের বারাকার সাব ট্রাফিক গার্ডে বুধবার তীব্র বিক্ষোভের ঘটনা ঘটল। সিপিভিএফ (CPVF) কর্মীরা একযোগে অভিযোগ তুলেছেন সাব ট্রাফিক গার্ডের ইনচার্জ সঞ্জীব সরকার নিয়মিতভাবে কর্মীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করছেন।

কর্মীরা জানিয়েছেন—
👉 “ছোট ছোট কারণে আমাদের উপর চিৎকার চেঁচামেচি করেন। এতে আমাদের সম্মানহানি হচ্ছে। মনে হয় যেন আমাদের কোনো মর্যাদা নেই।”
👉 কর্মীরা আরও অভিযোগ করেন, “আমরা বাধ্য হয়ে চাকরি করছি। ভয় থাকে, প্রতিবাদ করলে চাকরি চলে যেতে পারে। অথচ সম্মান দিয়ে কথা বললেও কাজ করানো যেত। কিন্তু প্রতিদিনের অপমান আর সহ্য হচ্ছে না।”

শিখ ধর্মীয় যাত্রা নিয়েও বিতর্ক

মঙ্গলবারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্ষোভ আরও বেড়েছে। সেদিন বারাকার দিয়ে শিখ সম্প্রদায়ের একটি বড় মিছিল যাচ্ছিল। কর্মীরা ট্রাফিক সামলাতে ব্যস্ত ছিলেন। পরে প্রসাদ নিয়ে অফিসার সঞ্জীব সরকারের কাছে গেলে তিনি নাকি অপমানজনক ভাষায় গালিগালাজ করেন। কর্মীদের দাবি—এমন ঘটনা একদিনের নয়, দীর্ঘদিন ধরেই চলছে। এ বিষয়ে মৌখিকভাবে বারাকার চেম্বার অফ কমার্সকেও অবগত করা হয়েছিল।

সঞ্জীব সরকারের পাল্টা দাবি

অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে অফিসার সঞ্জীব সরকার বলেন—
👉 “এখানে এমন কিছুই ঘটেনি। সবই ভুয়া গুজব।”

পুলিশের বক্তব্য

ঘটনা প্রসঙ্গে পশ্চিম ট্রাফিকের এ.সি.পি. সৌরভ চৌধুরী বলেন—
👉 “এটি সম্পূর্ণ শৃঙ্খলার বিষয়। কর্মীদের যদি কোনো অভিযোগ থাকত তবে তা আমাকে জানানো উচিত ছিল। তদন্তের পর দোষীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হত। কিন্তু প্রকাশ্যে এভাবে আন্দোলন আইন বিরুদ্ধ।”
তিনি আশ্বাস দিয়েছেন যে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করা হবে।

এলাকায় চাঞ্চল্য

এই ঘটনাকে ঘিরে বারাকার এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। সাধারণ মানুষ প্রশ্ন তুলছেন— যদি ট্রাফিক গার্ডেই শৃঙ্খলা না থাকে, তবে পথচলতি মানুষের নিরাপত্তা কে দেবে? স্থানীয় মহলে দাবি উঠছে, বিষয়টি নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।

ghanty

Leave a comment