রিপোর্ট: সঞ্জীব কুমার যাদব | বরাকর, পশ্চিম বর্ধমান
৯ জুলাই শ্রমিক সংগঠনের ডাকা দেশব্যাপী ধর্মঘটে বরাকর শিল্পাঞ্চলে মিশ্র প্রভাব পড়েছে। বাস পরিষেবা আংশিকভাবে প্রভাবিত হলেও, শহরের বাজার, খনি ও সরকারি অফিসে কার্যত স্বাভাবিক অবস্থা লক্ষ্য করা গেছে।
🚌 বাস চলেছে, যাত্রী কম
বরাকর বাসস্ট্যান্ড থেকে বিভিন্ন শহরের উদ্দেশ্যে বাসগুলি ছেড়েছে, তবে ধর্মঘটের আগাম ঘোষণা থাকায় যাত্রী সংখ্যা ছিল অত্যন্ত কম। বাসকর্মীরা জানিয়েছেন,
“এত কম যাত্রী নিয়ে খরচ ওঠানোই কঠিন হয়ে পড়ছে।”
আইএনটিটিইউসি-র সভাপতি বাবু দত্ত সকাল থেকেই দলবল নিয়ে বরাকর বাসস্ট্যান্ডে অবস্থান করছিলেন ও বাস চলাচল স্বাভাবিক রাখতে সক্রিয় ছিলেন। ইন্টক-এর বাবু ব্যানার্জি জানিয়েছেন, কিছু বাসকর্মী ধর্মঘটে যোগ দেওয়ায় কিছু বাস বন্ধ ছিল।
🏬 বাজার খুলল, কেনাকাটা স্বাভাবিক
শহরের ব্যস্ততম এলাকা বেগুনিয়া বাজার সহ বরাকরের প্রায় সমস্ত বাজার খোলা ছিল। লোকজন সাধারণ দিনের মত কেনাকাটা করেছে। আনাজ মাণ্ডিতেও লেনদেন হয়েছে।
🏦 ব্যাংক বন্ধ, সরকারি কর্মীরা উপস্থিত
বরাকরের সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংক বন্ধ থাকলেও, বেশিরভাগ সরকারি কর্মচারী অফিসে উপস্থিতি চিহ্নিত করেছেন এবং দৈনন্দিন কাজ চলেছে।
🏭 খনি অঞ্চলে ধর্মঘট নয়, বরং বৃষ্টির প্রভাব
সেল-এর রামনগর কোলিয়ারির সালানপুর ও লাইকেরদীহ অঞ্চলে আগে থেকেই উৎপাদন ব্যাহত ছিল।
ডামাগোড়িয়া কোলিয়ারির বোদরা ও চাপতোরিয়া অঞ্চলেও এক সপ্তাহ ধরে টানা বৃষ্টির কারণে কয়লা উত্তোলন বন্ধ। ফলে ধর্মঘটের প্রভাব সেখানে কার্যত অনুপস্থিত।
বিসিসিএল চাঁচ ভিক্টোরিয়া ব্যাগুনিয়া কার্যালয়ে সাধারণ দিনের মতো কাজ চলেছে।
✊ সিটু সমর্থকদের বিক্ষোভেও বাধা দিল বৃষ্টি
সকালে ধর্মঘটের সমর্থনে সিটু কর্মীরা খনি এলাকায় বিক্ষোভ দেখান, কিন্তু বৃষ্টির কারণে বিক্ষোভে অংশগ্রহণ সীমিত ছিল। মাত্র হাতে গোনা কয়েকজনকে সেখানে দেখা যায়।
🔚 উপসংহার
বরাকরে ৯ জুলাইয়ের ধর্মঘটের প্রভাব ব্যাংক ও যাত্রী সংখ্যায় দেখা গেলেও, বাজার, বাস ও অফিস চলেছে প্রায় স্বাভাবিক গতিতে। খনি অঞ্চলে বৃষ্টিই বড় কারণ হয়ে উঠল।