বরাকর পিঞ্জরাপোল সোসাইটি গৌধামে বুধবার এক অনন্য দৃশ্যের সাক্ষী রইল গোটা শহর। চার দশক ধরে চলে আসা ঐতিহ্য বজায় রেখে, গোপাষ্টমীর পবিত্র দিনে চৌকবাজারের মারওয়ারি পঞ্চায়েতী ঠাকুরবাড়ি থেকে ব্যান্ড-বাজনার সঙ্গে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়।
শোভাযাত্রার আগে গৌধামে প্রধান যজমান বাজরংলাল আগরওয়াল, নিমিত আগরওয়াল, রমেশ দেওয়ান, উমং দোকানিয়া এবং লোসালকা পরিবার যৌথভাবে গো-মাতার পূজা করেন। গোপাষ্টমী মহোৎসবটিকে গৌধামের প্রতিষ্ঠা দিবস হিসেবেও উদযাপন করা হয়।
বিকেলে শোভাযাত্রা ঠাকুরবাড়ি মন্দির থেকে শুরু হয়ে বারাকর স্টেশন রোড, বেগুনিয়া বাজার হয়ে নদীতীরবর্তী গৌধাম পর্যন্ত পৌঁছায়। পথে ভক্ত, সমাজসেবক এবং গৌপ্রেমীরা ঢাকঢোল বাজিয়ে ‘গোমাতা কি জয়’ ধ্বনিতে মুখরিত করে তোলে গোটা শহর।
সন্ধ্যায় ধর্মীয় প্রবচনের আয়োজন করা হয়, যেখানে বৃন্দাবনের শ্রীগোকুলেশ কুঞ্জ পীঠাধীশ্বর অনন্তশ্রীবিভূষিত শ্রীমৎ জগদগুরু রামানুজাচার্য স্বামী অনন্তাচার্য মহারাজ তাঁর আশীর্বচন ও দিভ্য প্রবচনে উপস্থিত ভক্তদের ভক্তিমগ্ন করে তোলেন।
এই উপলক্ষে পিঞ্জরাপোল সোসাইটির সভাপতি শিবকুমার আগরওয়াল এবং সম্পাদক অর্জুন আগরওয়াল যৌথভাবে জানান, “এই উৎসবের মূল উদ্দেশ্য হলো গোসেবা, ধর্ম ও সমাজের ঐক্যের বার্তা সর্বস্তরে পৌঁছে দেওয়া।”
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংরক্ষক কমিটির কাইলাশ মনসারামকা, শ্রীনারায়ণ সুহাসারিয়া, পাপ্পু চৌধুরি, মহেশ সরাফ এবং গৌশালা কমিটির নরেশ গুপ্ত, রামরতন সিংহানিয়া, সুভাষ কেদিয়া, বিজয় জৈন, রমেশ মনসারামকা, ছেড়িলাল আগরওয়ালসহ বহু বিশিষ্ট ব্যক্তি।
গোটা বারাকর শহর জুড়ে গোপাষ্টমীর এই ঐতিহ্যবাহী উৎসব ভক্তি, সেবা ও ঐক্যের এক অপূর্ব উদাহরণ স্থাপন করল।

















