বরাকরঃ
আসন্ন দুর্গাপুজো ও মহাবীর ঝাণ্ডাকে ঘিরে বুধবার বরাকর হনুমান চড়াই এলাকায় সেলিব্রেশন হলে কুলটি থানার উদ্যোগে এক গুরুত্বপূর্ণ সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি, সামাজিক সংগঠন, দুর্গাপুজো কমিটি ও মহাবীর ঝাণ্ডা আখড়া কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। সভায় নানা পরামর্শও উঠে আসে।
সভায় উপস্থিত থেকে আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট (ওয়েস্ট)–এর এ সি পি জে হোসেন সকলকে আগাম দুর্গাপুজোর শুভেচ্ছা জানান এবং নির্দেশ দেন—
- আখড়া নির্ধারিত সময়ে বের করতে হবে, সময় মেনে চলতে হবে।
- কোনো নতুন রুটে আখড়া বের করা যাবে না।
- বেগুনিয়া মোড়ে যানজট এড়াতে বিশেষ নজর দিতে হবে।
- আখড়ার স্বেচ্ছাসেবকদের তালিকা প্রশাসনকে জমা দিতে হবে।
- গুজব বা ভুয়ো তথ্যের উপর নির্ভর না করার কড়া পরামর্শ দেন তিনি।
এছাড়াও পুলিশ প্রশাসন আশ্বাস দেয় যে, পুজোর সময় সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে এবং শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
সভায় বরাকর বিদ্যুৎ দপ্তরের আধিকারিক অভিযোগ করেন যে, শহরের যেসব জায়গায় ট্রান্সফর্মার বসানো আছে, সেখানেই পৌর নিগম ডাস্টবিন বসিয়েছে। এর ফলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা বেড়েছে। এ বিষয়ে ইতিমধ্যেই নিগমকে চিঠি দেওয়া হয়েছে এবং সমস্যা সমাধানে সহযোগিতা করার আবেদন করা হয়েছে।
সভায় বরো চেয়ারম্যান শতাব্দী ভান্ডারি, বরো চেয়ারম্যান চৈতন্য মাঞ্জি, প্রেমনাথ সাও, পাপ্পু সিং, কাউন্সিলর যোগা মণ্ডল, বকিল দাস, কাউন্সিলর ললন মেহরা, কংগ্রেসের হরাধন মণ্ডল, বিভিন্ন চেম্বারের প্রতিনিধি ও দুর্গাপুজো কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও স্থানীয় ট্র্যাফিক গার্ড অফিসাররা, বারাকার ফাঁড়ির ওসি সুকান্ত দাস, চৌরঙ্গী আউট পোস্ট–এর ইনচার্জ কার্তিকচন্দ্র ভূঁই, নিয়ামতপুর ফাঁড়ির ওসি অখিল মুখার্জি এবং সাঁকতোড়িয়ার পুলিশ–ইনচার্জ উপস্থিত ছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এবছর বরাকর ও আশপাশের এলাকায় দুর্গাপুজো ও মহাবীর ঝাণ্ডা উপলক্ষে বিপুল ভিড়ের সম্ভাবনা রয়েছে। তাই প্রশাসন নিরাপত্তা, যান চলাচল, বিদ্যুৎ এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিয়ে বিশেষ কৌশল নিয়েছে।












