বরাকর | রিপোর্ট: সঞ্জীব কুমার যাদব
বরাকর বাসস্ট্যান্ডে কর্মরত এক ডজনেরও বেশি বাস চালক ও খালাসিরা চরম দুরবস্থার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। বাস পরিষ্কার করা তো দূরের কথা, পানীয় জল পাওয়াই কঠিন হয়ে উঠেছে তাঁদের জন্য। অথচ কোনো ট্রান্সপোর্ট ইউনিয়ন বা সামাজিক সংগঠনের নজর পড়েনি এই সমস্যার দিকে।
বাসস্ট্যান্ডে যাত্রীদের থাকার জন্য কোনও রেস্ট হাউস নেই। ফলে অনেক রাত করে পৌঁছানো বাসগুলোর জন্য যাত্রীরা বাধ্য হয়ে ভিজে মাটিতে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছেন। তবুও আসানসোল পুরনিগম এখনো পর্যন্ত কোনও কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়নি।
একসময় আসানসোল পুরনিগমের প্রাক্তন মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারির আমলে বাসস্ট্যান্ড পরিদর্শনের সময় আধুনিকীকরণের কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু তাঁর বিদায়ের পর থেকেই সেই প্রকল্প কার্যত ‘ঠান্ডাঘরে’ চলে গেছে।
কলকাতা, পাণ্ডুয়া, রামপুরহাট, সাইথিয়া, মালদহ, বাঁকুড়া, বর্ধমান, দুর্গাপুর, পলাস্থলি, জঙ্গিপুরসহ বিভিন্ন দূরপাল্লার রুটে চলা বাসগুলোর চালক ও সহকারীরা রাতের জন্য বাসস্ট্যান্ডেই থাকেন। ফলে এখানেই বাস পরিষ্কার ও স্নানের প্রয়োজন হয়। আগে এই পরিষেবা INTUC অফিসের কাছে থাকলেও বারাকর ওয়াটার প্রোজেক্টের জল সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সেই সুবিধা আর নেই।
বর্তমানে ডুডানি পরিবার কর্তৃক জনসেবার উদ্দেশ্যে নির্মিত একটি পানীয় জলের ট্যাঙ্ক থেকে কোনওরকমে জল জোগাড় করে কাজ চালানো হচ্ছে। অথচ সেই ট্যাঙ্কটি শুধুমাত্র যাত্রীদের জন্য নির্মিত হয়েছিল। এখন বাস কর্মীরা সেই জল ব্যবহার করায় যাত্রীরা নিজেরাও জল পাচ্ছেন না, ফলে সমস্যা আরও চরমে।
এই চিত্রই বলে দেয়, বরাকর বাসস্ট্যান্ডের কর্মীরা কী রকম কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে কাজ করছেন, এবং কতটা উপেক্ষিত এই গুরুত্বপূর্ণ যাতায়াত কেন্দ্র।