📍প্রতিবেদন: সঞ্জীব কুমার যাদব
বরাকর: আসানসোল পৌরনিগমের প্রাক্তন মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারির আমলে বরাকর বাসস্ট্যান্ডে বসানো স্ট্রিট লাইটগুলি গত প্রায় এক বছর ধরে জ্বলছে না। ফলে সন্ধ্যা নামতেই সমগ্র স্ট্যান্ড অন্ধকারে ডুবে যায়। এতে যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হচ্ছে এবং একাধিক অসামাজিক কার্যকলাপও ঘটে চলেছে।
⚠️ অন্ধকারেই চলছে চুরি, মদ্যপান ও হেনস্তা
স্থানীয় বাসচালক ও কন্ডাক্টরদের অভিযোগ, স্ট্যান্ডে অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে কিছু মদ্যপ ব্যক্তি যেখানে-সেখানে বসে মদ খাচ্ছে। বহুবার বাসের ডিজেল চুরি হয়েছে, এমনকি যানবাহনের যন্ত্রাংশ চুরির ঘটনাও ঘটেছে। মহিলারা রাতে স্ট্যান্ডে নামলে নিজেদের নিরাপত্তাহীন মনে করছেন।
🚌 আসানসোলের পরেই বারাকর: ব্যস্ততম বাসস্ট্যান্ড
ঝাড়খণ্ডের ধানবাদ জেলার সীমান্তবর্তী বারাকর স্ট্যান্ড থেকে প্রতিদিন সকাল ৪টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত কলকাতা, রামপুরহাট, দুর্গাপুর, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, টাটানগর-সহ একাধিক রুটে বাস চলাচল করে। এখানে আসানসোল, নিয়ামতপুর, কুলটি, কুমারধুবি, চিরকুন্ডা, ডিসারগড়-এর মতো স্থানের জন্যও অটো চলে।
💬 “রাজনীতিবিদরা মাইক বাজিয়ে চলে যান, সমস্যা দেখেন না”
বাস চালক মুন্না সিং জানান, “প্রতিমাসে এখানে রাজনৈতিক সভা হয়। কিন্তু কেউ আলো না জ্বলার সমস্যার দিকে নজর দেয় না।” কন্ডাক্টর অশোক সিং বলেন, “মহিলা যাত্রীদের সবচেয়ে বেশি সমস্যা হয়। রাতের অন্ধকারে তাঁরা নিরাপত্তাহীন মনে করেন।”
💡 কেবল একটি হাইমাস্ট লাইট, কিন্তু…
বারাকরের হানুমান চড়াই এলাকায় একটি হাইমাস্ট লাইট থাকলেও তা কিছুদূরেই ম্লান হয়ে যায়। চারদিকে ঘুটঘুটে অন্ধকার। ফলস্বরূপ দুর্ঘটনার আশঙ্কা সবসময় থাকে।
📣 পৌর কর্তৃপক্ষের নীরবতা
আইএনটিটিইউসি-র কুলটি ব্লকের সভাপতি বাবু দত্ত বলেন, “এখনও পর্যন্ত আমাদের কাছে কোনও লিখিত অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” অথচ সমস্যাটি বহু পুরনো এবং বহুজন জানেন বলেও যাত্রীদের অভিযোগ।