বরাকরে ১৭ দফা দাবিতে বি সি সি এল কর্মীদের ধর্না, ব্যবস্থাপনাকে সতর্কবার্তা

বরাকরঃ
ধনবাদ কোলিয়ারি এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের (বিএমএসের সহযোগী সংগঠন) পক্ষ থেকে শুক্রবার বরাকরের বি সি সি এল সি ভি এরিয়া আঞ্চলিক কার্যালয়ের সামনে ১৭ দফা দাবিকে কেন্দ্র করে ধর্না ও বিক্ষোভ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের পক্ষ থেকে সঞ্জীব যাদব ব্যবস্থাপনার হাতে দাবিপত্র তুলে দেন।

এই দিন ধর্না মঞ্চ থেকে বিএমএসের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক গৌরচাঁদ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “বিভিন্ন কোম্পানিতে নিয়মিত কর্মীর সংখ্যা কমছে, ফলে কয়লা উৎপাদন ও কর্মসংস্থান দুটোই হুমকির মুখে। নিয়মিত কর্মীদের ৫০ শতাংশ অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।”

সংগঠনের মূল দাবিগুলির মধ্যে রয়েছে—অসংগঠিত শ্রমিকদের এইচ পি সি হারে বেতন প্রদান, সামাজিক নিরাপত্তা ও আবাসনের ব্যবস্থা, কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা, বার্ষিক বোনাস, সার্ভিস-ক্রিয়েটেড কর্মীদের সমস্যার দ্রুত সমাধান, এ্যারিয়ারের টাকা তাড়াতাড়ি মিটিয়ে দেওয়া, এবং সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল তৈরি। পাশাপাশি মহিলা ক্ষমতায়নকে আরও উৎসাহ দেওয়া ও সেফটি রুল ভঙ্গের বিরুদ্ধে শতভাগ কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি ওঠে।

সংগঠন জানায়, এই আন্দোলন চার ধাপে হচ্ছে এবং চতুর্থ ধাপে সমস্ত আঞ্চলিক কার্যালয়ের সামনে একদিনের ধর্না দেওয়ার কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে কয়লা শিল্প বাঁচাতে সমস্যা সমাধানের জন্য চেষ্টা হলেও এখনও পর্যন্ত কোনো স্থায়ী সমাধান হয়নি।

ধর্না মঞ্চে এই দিন উপস্থিত ছিলেন এরিয়া ইনচার্জ লালমোহন দাস, এরিয়া সভাপতি দেবাশিস মোদী, এরিয়া সম্পাদক মহেশ তান্তি, কার্যনির্বাহী সভাপতি রাজেন্দ্র মাহাতো, সনদীপ শ্রীবাস্তব, ওমপ্রকাশ রাম, দেবনাথ চট্টোপাধ্যায়, দিনেশ গোপ, কমলেশ সিং, অজয়, নাগেন্দ্র কুশওয়াহা, পি মুখার্জি, মানস মাজি, রুমা মুখার্জি, লক্ষ্মী মুখার্জি, নরেশ চৌহান সহ বহু কর্মী।

সংগঠনের হুঁশিয়ারি—দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে আন্দোলন আরও তীব্র হবে।

ghanty

Leave a comment