বারাবনি, পশ্চিম বর্ধমান:
২১ জুলাই শহিদ দিবসকে ঘিরে রাজ্য জুড়ে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে কলকাতার ধর্মতলায় আয়োজিত এই ঐতিহাসিক দিনে লক্ষাধিক মানুষের সমাগম প্রত্যাশিত।
এই উপলক্ষে বারাবনি ব্লকের পক্ষ থেকে এক বিশাল মিছিল অনুষ্ঠিত হয়, যাতে বিপুল সংখ্যক মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
🚩 মিছিলে উপস্থিত নেতারা এবং জনতার উৎসাহ:
এই মিছিলে উপস্থিত ছিলেন—
- বারাবনি বিধায়ক ও আসানসোল পৌরনিগমের মেয়র বিধান উপাধ্যায়,
- বারাবনি ব্লক তৃণমূল সভাপতি অসিত সিংহ,
- ও অন্যান্য স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব।
তাঁরা জনগণের উদ্দেশ্যে আবেদন জানান, ২১ জুলাই ধর্মতলায় হাজির হয়ে শহিদ দিবসকে স্মরণীয় করে তুলুন।
🗣️ মিছিলের শ্লোগান ও বার্তা:
মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা হাতে তৃণমূলের পতাকা, ব্যানার ও পোস্টার নিয়ে ‘শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাও’, ‘গণতন্ত্র বাঁচাও’, ‘মমতা দিদি এগিয়ে চলুন’ সহ বিভিন্ন শ্লোগানে মুখর করে তোলেন বারাবনির রাস্তাঘাট।
নেতৃবৃন্দ এই দিনের ঐতিহাসিক গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, “শহিদ দিবস শুধু তৃণমূলের নয়, এটি গণতন্ত্র রক্ষার লড়াইয়ের প্রতীক।”
📜 ১৯৯৩ থেকে ২০২৫—একটি আন্দোলনের ইতিহাস:
মিছিল থেকে স্মরণ করা হয় সেই ১৯৯৩ সালের ২১ জুলাই, যখন পুলিশের গুলিতে ১৩ জন যুব তৃণমূল কর্মী শহিদ হন।
এই শহিদ দিবস আজ এক ঐতিহাসিক লড়াইয়ের প্রতীক, যেখানে গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও জনস্বরের জন্য রাস্তায় নেমে আসে সাধারণ মানুষ।
📢 ধর্মতলার আহ্বান—”একসাথে গড়ে তুলি গণতন্ত্রের ঢেউ”:
বারাবনি থেকে ধর্মতলার দিকে এগিয়ে যাওয়ার এই আহ্বান এখন রাজ্যের প্রতিটি ব্লকে প্রতিধ্বনিত হচ্ছে।
নেতারা বলেন, “২১ জুলাই যেন শুধু শহিদদের স্মরণ নয়, এটি হোক নতুন প্রজন্মের গণতন্ত্র রক্ষার শপথ।”
🔚 উপসংহার:
বারাবনির এই মিছিল ছিল শুধু একদিনের কর্মসূচি নয়, বরং ধর্মতলার দিকে এগিয়ে চলা একটি গণআন্দোলনের সূচনা।
২১ জুলাই ধর্মতলায় উপস্থিত জনস্রোত প্রমাণ করবে, মানুষ এখনো গণতন্ত্রের পক্ষে, শহিদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ।
“চলো ধর্মতলা – শহিদদের জন্য, গণতন্ত্রের জন্য!”