বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে, যা ভারতের ঝাড়খণ্ড, অসম, পশ্চিমবঙ্গ, বিহার এবং উত্তরপ্রদেশের মতো রাজ্যগুলিতে একটি গুরুতর সমস্যায় পরিণত হয়েছে। বিশেষ করে ঝাড়খণ্ড, অসম এবং পশ্চিমবঙ্গের বেশ কয়েকটি অঞ্চলে এই অনুপ্রবেশকারীদের কারণে জনসংখ্যার ভারসাম্য সম্পূর্ণরূপে বদলে গেছে।
অনুপ্রবেশ ও চক্রান্ত: কীভাবে অনুপ্রবেশ ঘটছে?
- পশ্চিমবঙ্গের ২,২৭২ কিমি দীর্ঘ বাংলাদেশ সীমান্তটি অনুপ্রবেশের জন্য অত্যন্ত সংবেদনশীল।
- মুর্শিদাবাদ ও ২৪ পরগনা থেকে সবচেয়ে বেশি অনুপ্রবেশ ঘটছে।
- মালদার পাগলা ঘাট ও কালিয়াচক এলাকা অনুপ্রবেশের প্রধান রুট।
- নদী ও জঙ্গলের রাস্তা ব্যবহার করে অনুপ্রবেশকারীরা প্রবেশ করছে।
- ঝাড়খণ্ডে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের কার্যক্রম:
ঝাড়খণ্ডের সাঁওতাল পরগনার ৬টি এলাকায় (দেওঘর, গড্ডা, দুমকা, জামতাড়া, সাহেবগঞ্জ ও পাকুড়) অনুপ্রবেশকারীরা স্থানীয় আদিবাসী জনসংখ্যার সংখ্যা কমিয়ে ফেলেছে।
অবৈধ নাগরিকত্ব প্রদানের র্যাকেট:
ইডি (ED)-এর তদন্তে উঠে এসেছে যে বাংলাদেশের নাগরিকদের ভুয়া নথি দেখিয়ে ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার একটি র্যাকেট সক্রিয়।
- সম্প্রতি ঝাড়খণ্ড ও পশ্চিমবঙ্গে ১৭টি স্থানে অভিযান চালিয়ে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
- তাদের কাছ থেকে ভুয়া আধার কার্ড, পাসপোর্ট, নকল নথি তৈরির যন্ত্রপাতি, অস্ত্র, নগদ অর্থ ও গয়না উদ্ধার হয়েছে।
বিবাহ ও চক্রান্ত:
ঝাড়খণ্ডের কিছু এলাকায় দেখা গেছে, এই বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা আদিবাসী নারীদের টাকা বা প্রলোভনের মাধ্যমে বিয়ে করছে। এর ফলে এই এলাকাগুলোর জনসংখ্যার বৈচিত্র্য বদলে যাচ্ছে।
উত্তর-পূর্ব ভারতে চোরাগোপ্তা অনুপ্রবেশ:
অসম, ত্রিপুরা ও মেঘালয়ের জঙ্গলে ঢাকা এলাকাগুলিতে ব্যাপকভাবে অনুপ্রবেশ ঘটছে। তাছাড়া, বাংলাদেশে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের সম্ভাবনার পর পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থার নির্দেশে কিছু জঙ্গি সংগঠন বড় ষড়যন্ত্রের চেষ্টা করছে।
জঙ্গি কার্যকলাপের তদন্তে NIA-এর অভিযান:
সম্প্রতি আল-কায়েদার সঙ্গে যুক্ত সন্দেহভাজন বাংলাদেশিদের বিরুদ্ধে NIA বড় পদক্ষেপ নিয়েছে।
- জম্মু-কাশ্মীর, কর্ণাটক, পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ত্রিপুরা এবং অসমে ৯টি স্থানে তল্লাশি চালানো হয়েছে।
- অভিযানে জঙ্গি তহবিলের লেনদেনের নথি ও ডিজিটাল ডিভাইস উদ্ধার হয়েছে।