আসানসোল :
আসানসোল পুরনিগমের ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে অবস্থিত শগুন কমিউনিটি সেন্টার ঘিরে শুরু হয়েছে প্রবল বিতর্ক। শুক্রবার ওই সেন্টারটি একটি বেসরকারি ব্যবসায়িক সংস্থার হাতে হস্তান্তর করার সময় পুরনিগমের আধিকারিকদের তৃণমূল কাউন্সিলর সি.কে. রেশমার তীব্র প্রতিবাদের মুখে পড়তে হয়।
সূত্রের খবর, ই-টেন্ডার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ওই কমিউনিটি সেন্টারের দায়িত্ব এক বেসরকারি সংস্থাকে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শুরু হতেই কাউন্সিলর রেশমা现场ে উপস্থিত হয়ে প্রশ্ন তোলেন—
“একই ধরনের অন্যান্য কমিউনিটি সেন্টারের তুলনায় এই সংস্থা এত বেশি টাকা দিল কেন? এর পেছনে উদ্দেশ্য কী?”
রেশমা আরও বলেন, “এই সেন্টারটা এলাকার মানুষের জন্য তৈরি। তাই পুরনিগমকে নিশ্চিত করতে হবে যাতে আগের মতোই সাধারণ মানুষ এখানে সুবিধা পান, ব্যবসায়িক স্বার্থের জন্য যেন এটি ব্যবহার না হয়।”
এই ঘটনায় কিছুক্ষণ উত্তেজনা তৈরি হলেও পরে পরিস্থিতি সামলান পুরনিগমের আধিকারিকরা। তাদের দাবি, পুরো টেন্ডার প্রক্রিয়া “পুরোপুরি স্বচ্ছ ও নিয়ম মেনে সম্পন্ন হয়েছে।”
তবে বিরোধীদের মতে, এই ঘটনার মাধ্যমে আসানসোল পুরনিগমের অন্তর্দ্বন্দ্ব ও তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছে। কারণ, টেন্ডার প্রক্রিয়া এবং সেন্টারের ব্যবস্থাপনা দু’টিই তৃণমূল নিয়ন্ত্রিত পুরনিগমের অধীনে।
এদিকে, স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশও ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন—
“এই সেন্টারটা সাধারণ মানুষের জন্য। যদি বেসরকারি সংস্থা একে ব্যবসার জায়গা বানায়, তাহলে পুরনিগমের আসল উদ্দেশ্যই নষ্ট হয়ে যাবে।”
পুরনিগম সূত্রে জানা গেছে, পুরো বিষয়টি এখন তদন্তাধীন। প্রয়োজনে নতুন করে টেন্ডার যাচাই করা হতে পারে।
রাজনৈতিক মহলে জোর গুঞ্জন— এই বিতর্ক তৃণমূলের ভেতরে নতুন অস্বস্তির বার্তা বহন করছে, যা আগামী পুরসভা নির্বাচনের আগে বড় মাথাব্যথার কারণ হতে পারে।

















