আসানসোল: আসানসোল পৌরনিগমের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডকে দীর্ঘদিন ধরে পিছিয়ে পড়া এলাকা হিসাবে ধরা হয়ে আসছে। একসময় এটি গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে থাকলেও, উন্নয়নের স্বার্থে এটি এখন পৌরনিগমের অন্তর্ভুক্ত।
🌍 ১২ হাজারের বেশি ভোটার, ৮.৬৫ বর্গ কিমি জুড়ে বিস্তৃত এলাকা!
এই ওয়ার্ডে প্রায় ১২,৫০০ ভোটার রয়েছেন এবং তারা ১২টি ভোটকেন্দ্রের মাধ্যমে ভোট প্রদান করেন। এলাকাগুলির মধ্যে ধীমেন, কারবাইয়া, বনবিষ্ণুপুর, নিশিন্দা প্রভৃতি গুরুত্বপূর্ণ এলাকা বলে জানিয়েছেন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শ্রীমতি রীনা মুখার্জি।

🏫 স্কুলের পরিকাঠামো থাকলেও সমস্যা অন্য জায়গায়!
এই ওয়ার্ডে ৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ২টি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে। যদিও, শ্রীমতি মুখার্জি জানান, তার দায়িত্ব নেওয়ার আগেই সব স্কুলে শৌচাগারের ব্যবস্থা হয়ে গিয়েছিল।
🚰 জলসংকটে ভুগছে বহু পরিবার, চলছে পাইপলাইন বসানোর কাজ!
পিছিয়ে থাকা এই ওয়ার্ডে পর্যাপ্ত পানীয় জলের ব্যবস্থা নেই। যদিও কিছু এলাকায় বোরিং করে জল সরবরাহ করা হয়েছে, তবুও অনেক জায়গায় সমস্যা প্রকট।

🔹 সমাধান কি?
👉 ১.৫ কোটি লিটার জলধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন জলমিনার তৈরি হচ্ছে।
👉 নিশিন্দা-সহ কয়েকটি এলাকায় নতুন পানীয় জল সরবরাহ শুরু হবে।
👉 জলমিনার থেকে সরাসরি বাড়িতে জল পৌঁছানোর পরিকল্পনা।

🌿 আদিবাসী ও বাউরি সম্প্রদায়ের বাস: উন্নয়নের ছোঁয়া লাগছে?
ওয়ার্ডের বাঘবন্দি এলাকায় মনসা মন্দির ও আরও একটি মন্দিরে প্রতি বছর ৩০ লক্ষ টাকার অনুদান থেকে কিছু অংশ প্রদান করা হয়।
⚠ অঙ্গনওয়াড়ির অবস্থা শোচনীয়! শিশুরা বঞ্চিত শিক্ষা থেকে

এই ওয়ার্ডে ৬টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থাকলেও, কোথাও পড়াশোনার ব্যবস্থা নেই! ফলে, শিশুরা আসতে চায় না।
🔹 কাউন্সিলরের উদ্যোগ:
👉 স্থানীয় মহিলাদের কাজে লাগিয়ে রান্নার সমস্যার সমাধান করতে চান।
👉 শিশুদের শিক্ষার সুযোগ বাড়াতে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা চলছে।
🛣 রাস্তাঘাট সংস্কারের উদ্যোগ!

👉 ঘিরমিন্ট এলাকায় নতুন রাস্তা তৈরির জন্য ৮ লক্ষ টাকা বরাদ্দ চেয়ে আবেদন।
👉 চাঠ ঘাট সংস্কারের জন্য তহবিল সংগ্রহের চেষ্টা।
👉 সংসদীয় তহবিল থেকে একটি হাইমাস্ট লাইটের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
👉 AMC থেকে পাওয়া ৩০ লক্ষ টাকা দিয়ে ইতিমধ্যে ৬টি রাস্তা নির্মাণ সম্পন্ন।
👉 ADDA-র মাধ্যমে ৪০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ, কবরস্থানে জল ও লাইটের ব্যবস্থা।
🔮 পরবর্তী দুই বছরে কী করতে চান কাউন্সিলর?
“আমি চাই এই পিছিয়ে পড়া ওয়ার্ডকে উন্নতির শিখরে নিয়ে যেতে। অনেক বাধা আসছে, তবুও আমি লড়ে যাব।” – বললেন শ্রীমতি রীনা মুখার্জি।