আসানসোল নগরনিগমের অন্তর্ভুক্ত ১৭ নম্বর ওয়ার্ড, যা একসময় কুলটি নগরপালিকার অংশ ছিল, বর্তমানে ৮ বর্গ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বিস্তৃত এবং এখানে মোট ১১,৫০০ ভোটার রয়েছেন। একসময় এই এলাকায় পানীয় জলের তীব্র সংকট ছিল, তবে এখন সেই সমস্যা অনেকাংশে মিটে গেছে।
সিটি টুডে নিউজ-এর সঙ্গে এক বিস্তৃত সাক্ষাৎকারে ওয়ার্ডের কাউন্সিলর লালন মেহরা জানিয়েছেন, গত কয়েক বছরে তার ওয়ার্ডে একাধিক উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে, তবে এখনো কিছু গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা রয়ে গেছে।

🔴 লাল বাজারের বিপজ্জনক জলমিনার! যেকোনো সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা!
কাউন্সিলর লালন মেহরা দুঃখের সঙ্গে বলেন, “লাল বাজার এলাকায় একটি জলমিনারের উপরিভাগ প্রায় ২ বছর আগে ভেঙে পড়েছে, কিন্তু এখনো মেরামত হয়নি। এই জলমিনার যেকোনো মুহূর্তে বড় দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে। আমরা নগরনিগম, পুলিশ থানা— সব জায়গায় জানিয়েছি, কিন্তু কম বাজেটের কারণে কোনো ঠিকাদার কাজ নিতে রাজি হচ্ছেন না!”

💰 বাজেট ও উন্নয়নমূলক কাজের অগ্রগতি
কাউন্সিলর লালন মেহরা জানিয়েছেন, চলতি বছরে তার ওয়ার্ডের জন্য বরাদ্দ হওয়া ৩০ লক্ষ টাকার মধ্যে ইতিমধ্যেই ২৪ লক্ষ টাকা বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পে ব্যয় করা হয়েছে।
✅ ৬.৫০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নতুন রাস্তা নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে।
✅ কেন্দ্রীয় সরকারের “অমৃত প্রকল্প”-এর অধীনে জলমিনারের কাজ শেষ হয়েছে।
✅ রাচিগ্রাম, পাথরখাদ, লাল বাজার, হাগরাশিদ, সিন্দুধারা ও বোরিয়া অঞ্চলে উন্নয়ন প্রকল্প চলছে।
✅ ৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ৪টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র সক্রিয় রয়েছে।

🌟 ধর্মীয় ও সামাজিক উন্নয়নও সমান তালে
ওয়ার্ডে প্রায় ৮টি মন্দির রয়েছে, যার মধ্যে লালবাজার দুর্গামন্দির ও হনুমান মন্দিরের নির্মাণ ও সংস্কার কাজ চলছে।
২টি কবরস্থানেও উন্নয়ন কাজ হয়েছে— হাই মাস্ক লাইট লাগানো হয়েছে।
ক্রিশ্চান কবরস্থান ও চার্চের জন্যও উন্নয়নমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
🚧 রাস্তা ও ড্রেন নির্মাণের বিশাল প্রকল্প

✅ ১৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ঘাঁটি মোড়ে আধা কিলোমিটার রাস্তা তৈরি হয়েছে।
✅ ১০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে পাথরঘাট থেকে রামনগর পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণ সম্পন্ন।
✅ ৪.৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ৩০০ মিটার রাস্তা তৈরি হয়েছে হরিপাড়ায়।
✅ ৬.৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে লালবাজার হনুমান মন্দিরের সংযোগ রাস্তা নির্মিত হয়েছে।
✅ ৬১ লক্ষ টাকা ব্যয়ে গোধরা মোড় থেকে ২ কিমি রাস্তার জন্য টেন্ডার অনুমোদিত।
🗣️ কাউন্সিলর লালন মেহরার অঙ্গীকার:

👉 “আমি উন্নয়ন করতে এসেছি, তা দেখানোর জন্য নয়, মানুষের সেবায় নিয়োজিত থাকার জন্য। আগামী ২ বছরের মধ্যে আমার ওয়ার্ডের সমস্ত উন্নয়ন কাজ সম্পূর্ণ করব, যাতে এলাকার মানুষ নিজেরাই বলতে পারেন— হ্যাঁ, পরিবর্তন এসেছে!”
📢 আপনিও কি ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের উন্নয়নের সাক্ষী? কমেন্ট করে জানান!

















