আসানসোল, পশ্চিম বর্ধমান:
আসানসোলের অন্যতম প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী কালীপুজো — উত্তর বুধা সর্বজনীন কালীপুজো কমিটি, হটন রোড, আসানসোল — এ বছর তার ৯৬তম বর্ষে পদার্পণ করল। চারদিন ধরে চলা এই উৎসবে এলাকাবাসী সহ ভক্তদের উপচে পড়া ভিড় দেখা যায়।
🕉️ পুজোয় দেবী আরাধনায় ভক্তদের ঢল
২০ অক্টোবর সন্ধ্যায় মন্ত্রোচ্চারণ ও ঢাকের তালে দেবী কালীমায়ের পূজা শুরু হয়।
রাতভর ভক্তরা আলোর সাজে ও ধুনুচি নাচে মাতেন।
সন্ধ্যার পরেই ভোগ বিতরণের ব্যবস্থা করা হয়, যেখানে শতাধিক ভক্ত প্রসাদ গ্রহণ করেন।
🍛 ২১ অক্টোবর: খিচুড়ি ভোগে ১৫০০ জন ভক্ত
পরদিন দুপুরে ১৫০০ জনের জন্য খিচুড়ি ভোগ বিতরণের বিশেষ আয়োজন করা হয়েছিল।
ভক্তদের দীর্ঘ সারি, মায়ের প্রসাদ গ্রহণের আনন্দে মুখর ছিল গোটা এলাকা।
সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হয় সঙ্গীত সন্ধ্যা, যেখানে স্থানীয় শিল্পীরা কীর্তন, আধুনিক ও ভজন পরিবেশন করেন।
🎭 ২২ অক্টোবর: শিশুদের জন্য বিশেষ অনুষ্ঠান
তৃতীয় দিনে ছোটদের জন্য আয়োজিত হয় নানা প্রতিযোগিতা — যেমন চিত্রাঙ্কন, আবৃত্তি, নাচ ও গান।
উৎসাহী শিশুদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠানস্থল ছিল সরগরম।
জয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন পুজো কমিটির সভাপতি ও স্থানীয় বিশিষ্টজনেরা।
🎶 ২৩ অক্টোবর: সুরের সন্ধ্যায় মাতল আসানসোল
চতুর্থ দিনও আয়োজিত হয় আরেকটি সঙ্গীত সন্ধ্যা, যেখানে স্থানীয় ও বাইরের শিল্পীদের পরিবেশনা দর্শকদের মুগ্ধ করে।
আলোর বাহারে সেজে ওঠে মণ্ডপ, আর মায়ের মূর্তির সামনে চলে আরতি, প্রদীপ প্রজ্জ্বলন ও ভক্তিগীত।
🌊 ২৪ অক্টোবর: মহা-বিসর্জনে আবেগঘন বিদায়
শেষ দিনে ২৪ অক্টোবর, মায়ের বিসর্জন যাত্রা ঘিরে গোটা এলাকায় উৎসবমুখর পরিবেশ।
বাজনা, ঢাক, কাঁসরের ধ্বনিতে মুখরিত হটন রোড।
ভক্তদের চোখে জল, ঠোঁটে একটাই উচ্চারণ —
“আসছে বছর আবার হবে!”
🌟 পুজো কমিটির পক্ষ থেকে বার্তা
কমিটির সম্পাদক জানিয়েছেন,
“প্রতি বছর আমরা সামাজিক বার্তা ও একতার প্রতীক হিসেবে এই পুজো করি। ৯৬ বছর ধরে আসানসোলবাসীর ভালোবাসা ও আশীর্বাদেই এই পুজো এতদূর এসেছে।”
💬 এলাকাবাসীর মুখে প্রশংসা
স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে —
“এখানকার পুজো মানেই পরিবার-পরিজনের মিলনমেলা। খিচুড়ি ভোগ আর সঙ্গীত সন্ধ্যা আমাদের বছরের প্রিয় দিন।”