আসানসোল, পশ্চিম বর্ধমান।
রামপুরহাটে এক আদিবাসী ছাত্রীর উপর সংঘটিত নৃশংস ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ড ঘিরে ক্ষোভে ফুঁসছে গোটা রাজ্য। শুক্রবার সেই ঘটনার প্রতিবাদে আসানসোলের রাস্তায় নেমে পড়লেন শত শত আদিবাসী পুরুষ ও মহিলা, হাতে ছিল তীর-ধনুক, কুঠার ও পতাকা।
আসানসোল উত্তর থানার অন্তর্গত জাতীয় সড়ক ১৯ ধরে এগোতে থাকে বিরাট মিছিল। শ্লোগান ওঠে—
“ন্যায় চাই! অপরাধীদের ফাঁসি চাই!”
🔥 থানার সামনে উত্তেজনা, আগুন লাগিয়ে প্রতিবাদ
মিছিল এসে পৌঁছায় আসানসোল উত্তর থানার সামনে। সেখানে ক্ষুব্ধ আদিবাসীরা অগ্নিসংযোগ করে প্রশাসন ও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
পুলিশের তরফে বাড়তি নিরাপত্তা মোতায়েন করা হয়, যাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকে।
এক আদিবাসী নারী বলেন,
“আমাদের মেয়ের সম্মান নিয়ে খেললে চুপ থাকব না। বিচার না হলে গোটা জঙ্গলমহল জ্বলবে।”
⚡ আদিবাসী নেতাদের হুঁশিয়ারি: “বিচার না হলে আন্দোলন আরও তীব্র হবে”
আদিবাসী সংগঠনের নেতারা জানান, রামপুরহাটের এই ঘটনা গোটা সমাজকে নাড়িয়ে দিয়েছে।
“এখনও পর্যন্ত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। যদি দ্রুত ন্যায় না মেলে, তাহলে রাজ্যজুড়ে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।”
📜 থানায় স্মারকলিপি পেশ
বিক্ষোভের পর এক আদিবাসী প্রতিনিধি দল আসানসোল উত্তর থানায় স্মারকলিপি জমা দেয়, যাতে দাবি করা হয়েছে—
- রামপুরহাটের নির্যাতিতা পরিবারের জন্য আর্থিক সহায়তা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হোক,
- অপরাধীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে বিচার করা হোক,
- রাজ্য সরকার যেন ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের নির্দেশ দেয়।
🕯️ “এবার চুপ থাকব না, বিচার নিয়েই ফিরব”
এই বিক্ষোভ মিছিলে বিপুল সংখ্যক আদিবাসী মহিলা, ছাত্রছাত্রী, যুব ও সামাজিক সংগঠন যোগ দেন। তাঁদের স্লোগান একটাই —
“এবার চুপ থাকব না, বিচার নিয়েই ফিরব!”
💬 স্থানীয় প্রতিক্রিয়া
আসানসোলের সমাজকর্মী বীরেন টुडু বলেন,
“এই ঘটনা শুধু একটি মেয়ের নয়, গোটা আদিবাসী সমাজের সম্মানের উপর আঘাত। সরকার যদি চুপ থাকে, জনগণই রাস্তায় নামবে।”












