আসানসোল (পশ্চিম বর্ধমান):
বিজেপির ‘পরিবর্তন যাত্রা’ ও রাজ্য সভাপতির সভার জবাবে রবিবার আসানসোলের গির্জা মোড় এলাকায় কার্যত শক্তিপ্রদর্শন করল তৃণমূল কংগ্রেস। বিশাল প্রতিবাদ সভার আগে শহরজুড়ে হাজার হাজার কর্মী-সমর্থককে নিয়ে এক সুবিশাল পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। গোটা এলাকা পরিণত হয় রাজনৈতিক স্লোগান, দলীয় পতাকা ও জনসমুদ্রের রঙিন মেলায়।
এই পদযাত্রা ও প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত ছিলেন আসানসোল উত্তরের বিধায়ক তথা রাজ্যের আইন ও শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক, জামুড়িয়ার বিধায়ক হরেরাম সিং, জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিশ্বনাথ বাউরি, আসানসোল পুরনিগমের ডেপুটি মেয়র অভিজিৎ ঘটক, মেয়র-ইন-কাউন্সিল গুরুদাস চট্টোপাধ্যায়-সহ একাধিক পুর পার্ষদ ও তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্ব।
সভা মঞ্চ থেকে সরাসরি কেন্দ্র সরকার ও বিজেপিকে নিশানা করে মন্ত্রী মলয় ঘটক বলেন,
“মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলায় ১০০-রও বেশি জনকল্যাণমূলক প্রকল্প চালু করেছেন। রাজ্যের মানুষ আজ বিনামূল্যে রেশন, নিখরচায় চিকিৎসা, ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনার সহায়তা—সবকিছু পাচ্ছেন। কেন্দ্র সরকার গরিবদের বাড়ির টাকা বন্ধ করে দিয়েছে, কিন্তু দিদি রাজ্যের কোষাগার থেকেই লক্ষ লক্ষ গরিব পরিবারকে পাকা বাড়ি করে দিয়েছেন। আর কেন্দ্রের বিজেপি সরকার গরিবদের ঘর বানানোর বদলে বুলডোজার চালিয়ে ভেঙে ফেলছে।”
ডেপুটি মেয়র অভিজিৎ ঘটক আরও তীব্র ভাষায় বিজেপির সমালোচনা করে বলেন,
“বিজেপি পরিবর্তনের কথা বলছে, কিন্তু আগামী বিধানসভা নির্বাচনে তারা গোটা বাংলায় ২০টা আসনও পাবে না। আগে টাকা দিয়ে ভোট কিনেছিল, জিতে গিয়ে গরিবের ঘর ভেঙেছে। বাংলার মানুষ এবার আরও বড় ব্যবধানে তৃণমূলকে জেতাবে—এই রাজ্যে শাসক দলের কোনও পরিবর্তন হবে না।”
সভায় উপস্থিত কর্মীরা একের পর এক বিজেপি বিরোধী স্লোগানে মুখরিত করে তোলেন গোটা এলাকা। পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের উন্নয়নমূলক কাজ ও সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পের সাফল্য তুলে ধরা হয় মঞ্চ থেকে।
রাজনৈতিক মহলের মতে, ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে আসানসোল থেকে যে সরাসরি রাজনৈতিক লড়াইয়ের সূচনা হল, এই সভাই তার স্পষ্ট ইঙ্গিত। বিজেপি ও তৃণমূল—দুই শিবিরই এখন ময়দানে নামতে পুরোপুরি প্রস্তুত।












