নিজস্ব সংবাদদাতা : রবিবার আসানসোলের ইস্টার্ন রেলওয়ে স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীরা কলকাতার আর.জি. কর মেডিক্যাল কলেজে এক মহিলা চিকিৎসকের নৃশংস খুনের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ করেন। প্রতিবাদকারীদের একটাই দাবি ছিল – যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দোষীদের ফাঁসি দেওয়া হোক। এই আন্দোলন আসানসোল শহরে ব্যাপক আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে এবং ন্যায়বিচারের দাবিতে আন্দোলনকে আরও জোরালো করেছে।
প্রতিবাদের আওয়াজ: “ন্যায় নেই, শান্তি নেই”
প্রতিবাদের সময় আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়া সোমু কুমার সাধু বলেন, “আমাদের বোন, যিনি একজন সম্মানিত চিকিৎসক ছিলেন, তাঁকে ধর্ষণ করে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে। আজ পর্যন্ত তাঁর পরিবার ন্যায়বিচার পায়নি। আমরা, ইস্টার্ন রেলওয়ে স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীরা, দাবি করছি, দোষীদের যত দ্রুত সম্ভব ফাঁসি দেওয়া হোক।”
প্রতিবাদকারীরা হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে জোরালো স্লোগান তোলেন। “ফাঁসি না হলে শান্তি নেই” – এই স্লোগানের মধ্যে দিয়ে তাঁরা দোষীদের দ্রুত ফাঁসির দাবি করেন। সোমু কুমার সাধু আরও বলেন, “আমরা শুধু ন্যায় চাই। যতক্ষণ না আমাদের বোনের দোষীরা শাস্তি পাচ্ছে, আমরা থেমে থাকব না।”
এই প্রতিবাদ শুধু একটি খুনের বিরুদ্ধে ছিল না, বরং মহিলাদের নিরাপত্তার জন্য সমাজে একটি স্পষ্ট বার্তা দেওয়ার উদ্দেশ্যে ছিল। প্রতিবাদকারীরা বলেন, আজ যদি দোষীদের কঠোর শাস্তি না দেওয়া হয়, তাহলে আগামীকাল আরও কোনও বোন বা মেয়ের সঙ্গে এই ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে।
প্রতিবাদে সমর্থন
এই প্রতিবাদে আসানসোলের সাধারণ মানুষ এবং বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সমর্থনও পাওয়া যায়। প্রতিবাদকারীরা ক্রমাগত দাবি করছেন যে, আইনের প্রক্রিয়ায় বিলম্ব আর সহ্য করা যাবে না। তাঁরা সরকারকে অনুরোধ করেন দেশের মহিলাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং এই ধরনের অপরাধীদের কড়া শাস্তি দেওয়ার আহ্বান জানান।
প্রতিবাদকারীরা বলেন, তাঁদের এই লড়াই শুধুমাত্র ওই চিকিৎসকের জন্য নয়, বরং দেশের সমস্ত মহিলাদের জন্য, যাদের নিরাপত্তার দায়িত্ব সরকারের। তাঁরা প্রতিজ্ঞা করেন, যতক্ষণ না দোষীদের ফাঁসি দেওয়া হয়, তাঁদের আন্দোলন চলতেই থাকবে।