আসানসোল:
আসানসোল পুরসভার কুলটি বিধানসভার অন্তর্গত ৫৯ নম্বর ওয়ার্ডে ফের পুকুর ভরাটকে কেন্দ্র করে তীব্র বিতর্ক। নিয়ামতপুর সীতারামপুর স্টেশন রোডে ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া সংলগ্ন কুমারডিহা মৌজার ২৭২ দাগের একটি প্রাচীন পুকুর বুজিয়ে নির্মাণকাজ চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় সূত্রের দাবি, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের “এক ইঞ্চি পুকুরও ভরাট করা যাবে না” — এই স্পষ্ট নির্দেশকে উপেক্ষা করেই চলছে এই বেআইনি কাজ। অভিযোগ, এলাকার এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী ও প্রভাবশালী ব্যক্তিরা রাতের অন্ধকারে পুকুরে মাটি ফেলে নির্মাণের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
বাসিন্দারা জানান, এই পুকুরটি বহুদিন ধরেই এলাকার একটি গুরুত্বপূর্ণ জলাধার হিসেবে ব্যবহৃত হত। কোনো অগ্নিকাণ্ড বা জরুরি পরিস্থিতিতে দমকল বাহিনী এই পুকুরের জল ব্যবহার করত। এখন পুকুরটি ধ্বংস হয়ে গেলে পরিবেশ ও জননিরাপত্তার বড় ক্ষতি হবে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
নিয়ামতপুর মার্চেন্ট চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সম্পাদক শচীন ভালোদিয়া জানিয়েছেন —
“পুকুরটি দ্রুত পুনরুদ্ধারের দাবি জানাচ্ছি। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ অমান্য করে এভাবে পুকুর বুজিয়ে দেওয়া একেবারেই অগ্রহণযোগ্য।”
বিজেপি নেতা টিঙ্কু বর্মা-ও পুকুর পুনরুদ্ধারের দাবি জানিয়ে বলেন —
“সরকার কাগজে পরিবেশ রক্ষা নিয়ে অনেক কথা বলে, কিন্তু মাটিতে তার বাস্তবায়ন কোথায়?”
অন্যদিকে কুলটি বিএলআরও আধিকারিক সুশান্ত চক্রবর্তী বলেন —
“অভিযোগ পেয়েছি। যদি ঘটনাটি সত্য প্রমাণিত হয়, তাহলে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
স্থানীয়দের একাংশ ইতিমধ্যেই পুকুর ভরাটের প্রতিবাদে অবস্থান বিক্ষোভের প্রস্তুতি নিচ্ছে। বিরোধীরা হুঁশিয়ারি দিয়েছে, প্রশাসন যদি দ্রুত ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে বৃহত্তর আন্দোলন শুরু হবে।
পরিবেশপ্রেমীরা বলছেন, আসানসোল-দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলে ইতিমধ্যেই অতিমাত্রায় পুকুর ও জলাভূমি ধ্বংসের ফলে তাপমাত্রা বাড়ছে, বৃষ্টিপাতের ধরণ পাল্টে যাচ্ছে — এই অবস্থায় এমন কাজ হলে তা ভয়ঙ্কর সংকেত।












