আসানসোল:
মাদক পাচারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বড় সাফল্য পেল আসানসোল পুলিশ। ঝাড়খণ্ড থেকে আসানসোলগামী একটি বাসে করে পশ্চিমবঙ্গে বিপুল পরিমাণ গাঁজা পাচারের চেষ্টা ভেস্তে দিল আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট (ADPC)। কমিশনারেটের গোপন শাখা (ডিডি) ও আসানসোল উত্তর থানার যৌথ অভিযানে উদ্ধার হয়েছে ১৬ কেজি ৫০০ গ্রাম গাঁজা। এই ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গোপন সূত্রেই ধরা পড়ে পাচারের ছক
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের গোপন শাখা খবর পায় যে ঝাড়খণ্ড থেকে একটি যাত্রীবাহী বাসে করে বিপুল পরিমাণ মাদক আনা হচ্ছে। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আসানসোল উত্তর থানা ও গোপন শাখা যৌথভাবে পরিকল্পনা করে ফাঁদ পাতে।
বাসটি আসানসোল এলাকায় প্রবেশ করতেই পুলিশ সেটি থামিয়ে তল্লাশি চালায়। তল্লাশির সময় এক যাত্রীর কাছ থেকে একাধিক প্যাকেটে মোড়া গাঁজা উদ্ধার হয়।
কে এই অভিযুক্ত?
গ্রেপ্তার হওয়া অভিযুক্তের নাম মোহাম্মদ লতিফুদ্দিন। তিনি মুর্শিদাবাদ জেলার বাসিন্দা বলে পুলিশ জানিয়েছে। প্রাথমিক জেরায় ধৃত স্বীকার করেছে, এই গাঁজার চালান তিনি অন্য কোথাও পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনায় ছিলেন।
আন্তঃরাজ্য মাদক চক্রের যোগসূত্র খতিয়ে দেখছে পুলিশ
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে একটি আন্তঃরাজ্য মাদক পাচার চক্র সক্রিয় রয়েছে বলে পুলিশের সন্দেহ। তদন্তের মূল ফোকাস রয়েছে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে—
- ঝাড়খণ্ডের কোন উৎস থেকে এই গাঁজা সংগ্রহ করা হয়েছিল?
- পশ্চিমবঙ্গের কোন এলাকা বা কোন ব্যক্তির কাছে এই চালান পৌঁছনোর কথা ছিল?
- এর সঙ্গে আর কারা যুক্ত রয়েছে?
এনডিপিএস আইনে মামলা
পুলিশ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে এনডিপিএস আইনে মামলা রুজু করেছে। তাকে আদালতে পেশ করে পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করা হবে, যাতে এই মাদকচক্রের বাকি সদস্যদের চিহ্নিত করা যায়।
পুলিশের কড়া বার্তা
আসানসোল পুলিশ জানিয়েছে, যুবসমাজকে নেশার অন্ধকারে ঠেলে দেওয়া কোনও চক্রকেই রেয়াত করা হবে না। মাদক পাচারের বিরুদ্ধে অভিযান আরও জোরদার করা হবে।











