[metaslider id="6053"]

ডামরা ঘাটে বালু মাফিয়াদের বিরুদ্ধে কড়া অ্যাকশন, পুলিশের জালে ১১ ট্র্যাক্টর

আসানসোল, পশ্চিম বর্ধমান:
আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশের বড়সড় অভিযানে ডামরা ঘাট এলাকা থেকে ১১টি বালুবোঝাই ট্র্যাক্টর আটক করা হয়েছে। এই বালু বর্ষার সময় অবৈধভাবে দামোদর নদী থেকে তোলা হচ্ছিল, যা ন্যাশনাল গ্রীন ট্রাইব্যুনাল (NGT)-এর নির্দেশের সরাসরি লঙ্ঘন।

সোমবার রাতে গোপন সূত্রের ভিত্তিতে পুলিশ হানা দেয় ডামরা ঘাটে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে শ্রমিক ও চালকেরা ট্র্যাক্টর ফেলে পালাতে শুরু করে। যদিও কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে এবং জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। বর্তমানে সব ট্র্যাক্টর দক্ষিণ থানার প্রাঙ্গণে দাঁড়িয়ে রয়েছে।

🧨 স্থানীয় স্তরে চাঞ্চল্য, প্রশ্ন উঠছে—আসল মাফিয়ারা কবে ধরা পড়বে?

স্থানীয়দের অভিযোগ, আগেও এভাবে অভিযান হয়েছে, কিন্তু কিছুদিন চুপচাপ থাকার পর আবারও বালু মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য শুরু হয়ে যায়। এবারও কি আসল মাস্টারমাইন্ডদের নাম সামনে আসবে? নাকি আগের মতো সব চাপা পড়ে যাবে?

⚖️ প্রশাসনিক স্তরে চাপ বাড়ছে

এই ঘটনায় জেলা প্রশাসনের উপর টেকসই আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার চাপ বেড়েছে। সরকারি স্তরে এখন আলোচনা হচ্ছে, অভিযানটা শুধুই “ফর্মালিটি” ছিল, নাকি এবার দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হবে?

🌊 NGT নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও বর্ষায় বালু উত্তোলন—কে দিচ্ছে অনুমতি?

NGT স্পষ্টভাবে বলেছে, বর্ষাকালে নদী থেকে বালু তোলা বেআইনি, কারণ এতে পরিবেশ ভারসাম্য নষ্ট হয় এবং নদীর গতিপথ বদলে যায়। তবু প্রতি বছর মাফিয়ারা এই সময়ই সক্রিয় হয়, কারণ বর্ষার সময় বালু সহজে মেলে এবং বাজারে দাম বেশি।

📌 নেতা ও প্রভাবশালীরা কী ধরা পড়বে এবার?

সূত্রের দাবি, কয়েকজন স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি এই চক্রের পেছনে রয়েছেন। এবার প্রশাসন কি তাদের মুখোশ খুলবে? না কি আবারও “সাময়িক অভিযান” বলেই ফাইল বন্ধ হয়ে যাবে?

ghanty

Leave a comment