আসানসোল, ৩১ অক্টোবর: পশ্চিমবঙ্গ পাবলিক হেলথ ইঞ্জিনিয়ারিং (PHE) কন্ট্রাক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার রাজ্যভার আন্দোলনের অংশ হিসেবে আসানসোল PHE দফতরের সামনে জোরদার বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।
অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য এবং শ্রমিকরা দাবি করেন, গত ১৪ মাস ধরে কন্ট্রাক্টর ও শ্রমিকদের কোনো পেমেন্ট দেওয়া হয়নি, ফলে তাঁরা তীব্র আর্থিক সঙ্কটের মুখে পড়েছেন।
💰 বেতনহীন ১৪ মাসে ভেঙে পড়ছে সংসার:
বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করেন, দীর্ঘদিন ধরে কাজ করার পরও তাঁদের পরিশ্রমের অর্থ আটকে রাখা হয়েছে।
একজন শ্রমিক বলেন, “আমাদের ঘরে চুলা জ্বলে না। ছেলেমেয়েদের স্কুলের ফি, ওষুধের খরচ কিছুই দিতে পারছি না। সরকার যদি এখনও না জাগে, তাহলে আমরা রাস্তায় নামব বড় আন্দোলন করতে।”
✊ আন্দোলনের হুঁশিয়ারি:
অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা হুঁশিয়ারি দেন যে, যদি দ্রুত পেমেন্ট না করা হয়, তাহলে আন্দোলন আরও তীব্রতর ও রাজ্যব্যাপী রূপ নেবে।
তাঁরা জানান,
“আমরা ন্যায্য পাওনা চাইছি, ভিক্ষা নয়। যদি সরকার কর্ণপাত না করে, তবে এবার PHE দফতর জুড়ে চাকা বন্ধ আন্দোলন শুরু হবে।”
🗣️ অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান দাবিগুলি:
- গত ১৪ মাসের সমস্ত বকেয়া পেমেন্ট অবিলম্বে পরিশোধ করতে হবে।
- শ্রমিক ও কন্ট্রাক্টরদের নিরাপত্তা ও বীমা সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।
- ভবিষ্যতে বকেয়া আটকানো এড়াতে সময়মতো পেমেন্ট সিস্টেম চালু করতে হবে।
📍 স্থানীয় সমর্থন ও সংহতি:
এই আন্দোলনে কেবল কন্ট্রাক্টরই নয়, স্থানীয় নাগরিক ও বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনও অংশ নেন।
স্থানীয় ব্যবসায়ী ও সমাজকর্মীরাও জানান, “যে প্রকল্পগুলির উপর সাধারণ মানুষের জল সরবরাহ নির্ভর করছে, সেই কাজ বন্ধ হয়ে গেলে শহরজুড়ে বিপর্যয় ঘটবে।”
🔚 উপসংহার:
PHE কন্ট্রাক্টর অ্যাসোসিয়েশনের নেতা বলেন,
“এটা শুধু টাকা পাওয়ার লড়াই নয়, এটা আমাদের সম্মান ও অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই। যতদিন না ন্যায্য পাওনা হাতে আসে, ততদিন আমাদের আন্দোলন চলবেই।”

















