আসানসোল, ৯ জুন:
আসানসোল পৌরনিগমে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তোলপাড়। সোমবার বিজেপি নেতা ও প্রাক্তন মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি এক সাংবাদিক সম্মেলনে পৌরপ্রশাসন ও তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তোলেন। এই সম্মেলনে জেলা সভাপতি দেবতনু মুখার্জি ও রাজ্য বিজেপি সদস্য কৃষ্ণেন্দু মুখার্জি উপস্থিত ছিলেন।
🔥 “১১টি বেআইনি কারখানায় এখনও কোনও ব্যবস্থা নয়, সবটাই ‘আন্ডার টেবিল’!”
জিতেন্দ্র তিওয়ারির অভিযোগ, জামুড়িয়া ও রানিগঞ্জ এলাকায় ১১টি বড় শিল্প কারখানা অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে ও চলছে। এক বছর আগে এই সব নির্মাণের বিরুদ্ধে বিজেপি পরিচালিত পৌর বোর্ডের সময়ে নোটিস জারি হয়েছিল, যেখানে ভেঙে ফেলার হুঁশিয়ারিও ছিল।
“যদি নিয়ম মেনে জরিমানা আদায় করা হয়, তাহলে প্রায় ৭০০ কোটি টাকা রাজস্ব পেতে পারে আসানসোল পৌরনিগম,” তিনি দাবি করেন।
🧾 ‘সাদা কাগজ’ প্রকাশের দাবি, নগর নিগমের জবাবদিহি চাইল বিজেপি
বিজেপি নেতার দাবি, গত এক বছরে এই বিষয়ে কতটা কাজ হয়েছে এবং কতটা হয়নি, সেই তথ্য প্রকাশ করে পৌরনিগমকে একটি শ্বেতপত্র (White Paper) প্রকাশ করতে হবে।
🚦 হাটন রোডে ৭২ ঘণ্টায় সমাধান সম্ভব, অথচ নীরব পৌরনিগম!
তিওয়ারি বলেন, “হাটন রোডের মত জায়গায় ট্রাফিক জ্যামের সমস্যার সমাধান মাত্র ৭২ ঘণ্টার কাজ, অথচ পৌরনিগম তা করতে ব্যর্থ। যদি দুই মাসের জন্য পৌরনিগম বিজেপি স্বেচ্ছাসেবকদের হাতে ছেড়ে দেওয়া হয় — মেয়র ও অন্যান্য পদ রেখে — তাহলে আমরা শহরের চেহারা পাল্টে দেব।”
🧨 রাজনৈতিক বার্তা: নির্বাচন ঘনাচ্ছে, প্রচারের সুর
এই সাংবাদিক সম্মেলনকে আগামী পৌর নির্বাচনের প্রস্তুতির সূচনা হিসেবেও দেখা হচ্ছে। বিজেপি লাগাতার তৃণমূলকে দুর্নীতি ও প্রশাসনিক ব্যর্থতার জন্য নিশানা করছে। এই ইস্যু নির্বাচনী ময়দানে আলোড়ন তুলতে পারে।
🎙️ গুরদাস চট্টোপাধ্যায়ের প্রতিক্রিয়া: “মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে স্থগিত হয়েছে অভিযান”
এই বিষয়ে মেয়র পরিষদের সদস্য গুরদাস চট্টোপাধ্যায় পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় বলেন,
“যখন উনি নিজে মেয়র ছিলেন তখন কেন ব্যবস্থা নেননি? আমরা পদক্ষেপ নিয়েছিলাম, কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে এবং চেম্বার অফ কমার্স-এর অনুরোধে তা স্থগিত করা হয়েছে।”