ধর্ম যার যার, উৎসব সবার—বড়দিনে মানবিক বার্তা প্রদীপ মজুমদারের

single balaji

আসানসোল: সারা বছর রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রী হিসেবে ফাইল, বৈঠক, প্রশাসনিক দায়িত্ব আর রাজনৈতিক ব্যস্ততায় কাটে প্রদীপ মজুমদারের দিন। কিন্তু বড়দিনে যেন একেবারেই অন্য ছবি। বৃহস্পতিবার সকালে তাঁকে দেখা গেল একেবারে ভিন্ন রূপে—পরনে সান্তার লাল পোশাক, মাথায় লাল টুপি আর মুখে সাদা দাড়ি।

স্টিল টাউনশিপের নিজের বাড়ি থেকে সান্তার পোশাকেই বেরিয়ে পড়েন মন্ত্রী। প্রথম গন্তব্য ছিল বাড়ির কাছেই অবস্থিত তালতলা বস্তি। সেখানে পৌঁছে শিশুদের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটান তিনি। নিজেই ‘সান্তা’ সেজে কচিকাঁচাদের হাতে তুলে দেন কেক, চকোলেট ও খেলনা। সান্তা রূপে মন্ত্রীকে সামনে পেয়ে শিশুদের মুখে ফুটে ওঠে চওড়া হাসি, মুহূর্তে উৎসবের আবহ ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়।

এ দিন বস্তির সামনের রাস্তা দিয়ে হুটার বাজিয়ে এগিয়ে যায় মন্ত্রীর গাড়ি। কৌতূহলী অনেক বাসিন্দাই ছুটে আসেন কী ঘটছে তা দেখতে। গাড়ির ভিতরে সান্তার বেশে থাকা মন্ত্রীকে দেখে অনেকেই প্রথমে চিনতেই পারেননি। স্থানীয় বাসিন্দা শেখ নিজামুদ্দিন বলেন,
“মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদারকে প্রথমে চিনতে পারিনি। তিনি নিজে শিশুদের উপহার দিচ্ছিলেন। খুব ভালো লেগেছে।”

তালতলা বস্তি থেকে এরপর মন্ত্রী যান স্টিল টাউনশিপের কণিষ্ক রোডে। সেখানে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার উদ্যোগে আয়োজিত বড়দিনের অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি। জানা গেছে, সারাদিন ধরে ওই অনুষ্ঠানে একাধিক সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।

এই প্রসঙ্গে মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার বলেন,
“বড়দিনে শিশুদের সঙ্গে সময় কাটাতে পেরে সত্যিই খুব ভালো লাগছে। তারা সুস্থ ও সুন্দরভাবে বড় হয়ে উঠুক—এটাই আমার কামনা। ধর্ম যার যার, উৎসব সবার।”

মন্ত্রী হিসেবে প্রশাসনিক কাজের বাইরে এমন মানবিক ও আন্তরিক উদ্যোগে খুশি সাধারণ মানুষ। বড়দিনে সান্তা রূপে মন্ত্রীর এই উপস্থিতি নিঃসন্দেহে রাজনীতির বাইরে এক মানবিক বার্তা ছড়িয়ে দিল শহরজুড়ে।

ghanty

Leave a comment